বিপৎসীমার ওপরে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি, আবারও বন্যার আশঙ্কা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি দ্রুত বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকার নিচু এলাকার প্রায় ৮০টি চর-দ্বীপচরে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।

এ অবস্থায় দ্বিতীয় ধাপে একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

এদিকে নদ নদনদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে। পানি না আসলে আরও অনেক টাকার পটল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতাম।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও দুধকুমার নদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। যার ফলে জেলায় দ্বিতীয় ধাপে স্বল্প মেয়াদী বন্যা দেখা দেবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ৪০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেদিকে প্লাবিত হচ্ছে আমরা সেদিকেই নজর রাখছি। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলমান।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার Oct 01, 2025
img
২ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে চারটি বিভাগের নদীর পানি Oct 01, 2025
img
থাকতে হলে সামাজিক অবদান রাখতে হবে যুক্তরাজ্যে Oct 01, 2025
img
আত্মসমর্পণ আমাদের স্বভাবে নেই : ইরানের প্রেসিডেন্ট Oct 01, 2025
img
অ্যাতলেটিকো ছেড়ে বার্সেলোনায় যাচ্ছেন আলভারেজ! Oct 01, 2025
img
‘হাতকড়া পরিহিত ছবি ব্যবহারে বিভ্রান্তিকর-অসত্য তথ্য প্রচার হচ্ছে’ Oct 01, 2025
img
বৃষ্টির মধ্যেই অনুশীলন করলেন জামাল-মিতুলরা Oct 01, 2025
img
বিশ্বের প্রভাবশালী ৬ আলেম আসছেন বাংলাদেশে Oct 01, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

বেনফিকার আত্মঘাতী গোলে জয় পেল চেলসি Oct 01, 2025
img
যেসব দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা বন্ধ Oct 01, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্মত যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি Oct 01, 2025
img
'ভোলায় জামায়াতের ৪৫ নেতা-কর্মীর বিএনপিতে যোগদানের খবর মিথ্যা' Oct 01, 2025
img
রোহিঙ্গারা চলে যেতে চায়, উদ্যোগ গ্রহণ করুন: বিশ্ব নেতাদের ড. ইউনূস Oct 01, 2025
img
নির্বাচন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে : ফারুক-ই-আজম Oct 01, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারাল তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই Oct 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করার অনুমতি চায় স্টারলিংক Oct 01, 2025
img
জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান হবেন বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী : ইয়াসিন খাঁন Oct 01, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Oct 01, 2025
img
অবশেষে নেপালের বিপক্ষে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ Oct 01, 2025
img
প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে যেসব জেলা থাকছে Oct 01, 2025