একাকিত্ব বাড়াচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া

একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা কাটাতে মানুষ ব্যাপকহারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। কিন্তু বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারে একাকিত্ব দূর করার পরিবর্তে উল্টো একাকিত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আমেরিকার জার্নাল অফ সোস্যাল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। নতুন এই গবেষণার ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে উদ্বেগের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা সোস্যাল মিডিয়া ও মানুষের একাকিত্বের মধ্যে সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারেনি।

পেনিসেলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী মেলিসা জি. হান্ট বলেন, তাদের এই নতুন গবেষণায় ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের উপর একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা করা হয়েছে।

পূর্বের গবেষণাগুলো সীমিত আকারে হয়েছিল, আর নতুন এই গবেষণা বিস্তৃত ও সুসঙ্গত। তাই এর ফলাফলের বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক মেলিসা।

মেলিসা জি. হান্টের নেতৃত্বে এই গবেষণায় পেনিসেলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৩ জন স্নাতক শিক্ষার্থীর সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর তিন সপ্তাহব্যাপী গবেষণা করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যারা সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন তাদের একাকিত্ববোধ ও হতাশা উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে।

মেলিসা জি. হান্ট বলেন, সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে কেউ যখন অন্যের সফলতা ও সুন্দর জীবনযাপন দেখেন, তখন তিনি নিজ থেকে অন্যদের বেশি সুখি মনে করেন, যা তার মধ্যে একাকিত্ববোধ ও হতাশা জাগ্রত করে।

তাই বলে কি আপনি সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার ছেড়ে দিবেন? না, এই গবেষণা সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার ছেড়ে দেয়ার কথা বলছে না।

বরং সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কমিয়ে দিয়ে বাস্তবজীবনে মানুষের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক মেলিসা জি. হান্ট।

 

মেডিকেল নিউজ টুডে অবলম্বনে লিখেছেন এনামুল হক।

Share this news on:

সর্বশেষ