শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত শুরু

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৫) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা গতকাল রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় আমরা অভিযোগটি গ্রহণ করেছি। অভিযোগটি নিবন্ধন বইয়ে নিবন্ধনভুক্ত করা হয়েছে। এই নিবন্ধনের মানে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এই আবেদন দায়ের করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বাগেরহাটের আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই আবেদন করেন। একই অপরাধে ব্যক্তির পাশাপাশি দল এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে আবেদনে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো.হারুন অর রশিদ। পাশাপাশি নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা, সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাবিতে পোষ্য কোটার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল প্রশাসন Sep 26, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের বিদায় , ফাইনালে পাকিস্তান Sep 26, 2025
img
হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে এই দেশকে রক্ষা করতে চাই : মিয়া গোলাম পরওয়ার Sep 26, 2025
img
গাজীপুরে ঝুটের গুদামে আগুন, ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে Sep 26, 2025
যেভাবে হালাল-হারাম বেছে চলবেন Sep 25, 2025
চীনের রণতরীতে নতুন প্রযুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্য! Sep 25, 2025
শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সেবা নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছে ডাকসু! Sep 25, 2025
এবার ভারত উত্তাল জেন জি আন্দোলনে, প্রাণহানি অন্তত ৪ Sep 25, 2025
এবার ভারত উত্তাল জেন জি আন্দোলনে, প্রাণহানি অন্তত ৪ Sep 25, 2025
বিমানবন্দর থেকে আলাদা বের হওয়ার কারণ জানালেন ড. তাহের Sep 25, 2025
img
অশান্তির আগুন নেভাতে হাতপাখার বাতাস লাগবে : চরমোনাই পীর Sep 25, 2025
img
গাজায় ‘কিছু একটা চুক্তির’ কাছাকাছি আছি: ট্রাম্প Sep 25, 2025
img
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা বিএনপির প্রতিশোধ : আমান উল্লাহ Sep 25, 2025
img
ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের মামলা প্রত্যাহার ফ্রান্সের Sep 25, 2025
img
৮ বিশেষ ট্রেন চলবে দুর্গাপূজায়, বাতিল সাপ্তাহিক ছুটি Sep 25, 2025
img
জাতিসংঘে শতাধিক প্রতিনিধি পাঠিয়ে হতাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি Sep 25, 2025
img
বাংলাদেশকে ১৩৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান Sep 25, 2025
img
স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় : প্রধান উপদেষ্টা Sep 25, 2025
img
ড. ইউনূস নোবেল পেলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় আণ্ডা পেয়েছেন : ফয়জুল করিম Sep 25, 2025
img
বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চলছে : প্রধান উপদেষ্টা Sep 25, 2025