আগামী মাসে পাকিস্তানে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তার আগে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে টুর্নামেন্টটি নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের এক দল আফগানিস্তানকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন ব্রিটেনের অন্তত ১৬০ জন রাজনৈতিক নেতা। যদিও এ নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
রাজনৈতিক কারণে আফগানিস্তানকে বয়কটের ডাক দিয়েছে ইংল্যান্ডের নেতারা। তালেবান সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ইংল্যান্ডের রাজনীতিবিদদের একাংশ আফগানিস্তানকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নাইজেল ফারাজ, জেরেমি করবিন, লর্ড কিনকের মতো নেতারা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা ইংল্যান্ড পুরুষ দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর জঘন্য আচরণ নিয়ে কথা বলতে। আমরা এটাও অনুরোধ করছি, ইসিবি যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কট করার কথা ভাবে। তাতে তালেবানের ভয়ঙ্কর আচরণের বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়া হবে।
চিঠির জবাবে ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বলেন, ইসিবি অবশ্যই তালেবান শাসনে আফগান নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি আচরণের কঠোর নিন্দা জানায়। আইসিসি সংবিধান সমস্ত সদস্য দেশের নারী ক্রিকেটের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘এই প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইসিবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ম্যাচ না খেলে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে। তবে কোনো একটি দেশের একাকী প্রতিবাদের চেয়ে আইসিসি যদি সবাইকে নিয়ে কিছু করে, সেটিই বেশি কার্যকর হবে।’
মূলত, ২০২১ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর নারীদের ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। এরপরই বিশ্বক্রিকেট মহলে শুরু হয় নানান সমালোচনা। যার ফলে গত বছর আফগানিস্তান সিরিজ স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। এবার একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে ইংল্যান্ডও।