একদিনে ৩৭ জন সৌদি নাগরিকের শিরশ্ছেদ

সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সৌদি আরবে মঙ্গলবার ৩৭ জন ব্যক্তির  মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কারাবন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার দেহ ক্রুশবিদ্ধ করে রাখা হয়। খবর সৌদি গ্যাজেট ও বিবিসির।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও মক্কা, মদিনা ও পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ কাসিম ও আসির অঞ্চলে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর দেহ ক্রুশবিদ্ধ করে রাখার প্রচলনও রয়েছে। তবে তা কম শোনা যায়।

২০১৮ সালে এক নারীকে ছুরি মেরে হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা ও আরও এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টার দায়ে একইভাবে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

৩৭ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যার বয়স গ্রেপ্তারের সময় ১৭ বছর ছিল বলে জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

 

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ব্যক্তিরা উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করতো এবং তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করেছিল।

তারা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল এবং বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল বলে সরকারের দিক থেকে অভিযোগ রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।

সৌদি সরকার সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না। তবে সেখানে এর সংখ্যা অনেক। অ্যামনেস্টির হিসাবে, শুধু এ বছরই দেশটি ১০৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

সম্প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে গৃহকর্তাকে হত্যার দায়ে ফিলিপাইনের একজন নারী শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। দেশটিতে খুনের দায়ে এমনকি এক রাজপুত্রেরও মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১২ জনের Nov 11, 2025
img
অনুকরণ নয়, বৈচিত্র্যের মধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা আসে: তামান্না ভাটিয়া Nov 11, 2025
img
কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আ. লীগের ৫৫২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি Nov 11, 2025
img
শেষ বিকেলে স্পিনারদের কল্যানে স্বস্তি ফিরল বাংলাদেশ দলে Nov 11, 2025
img
জুবিনকে হারিয়ে কীভাবে দিন কাটছে বৃদ্ধ বাবা ও স্ত্রী গরীমার? Nov 11, 2025
img
আজ ব্যাচেলর দিবস Nov 11, 2025
img
অনুপমের বাবার সুরে ‘নীলা’ গান, শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস Nov 11, 2025
img
আচরণবিধি মেনে চলতে প্রার্থী-দলকে দিতে হবে অঙ্গীকারনামা: ইসি সচিব Nov 11, 2025
img
‘এআই’ নিয়ে আর্তেতাকে সতর্ক করলেন ওয়েঙ্গার Nov 11, 2025
img
বার্সেলোনা চিকিৎসকের পদক্ষেপেই বাঁচালো লামিনে ইয়ামালের ক্যারিয়ার! Nov 11, 2025
img
মিজানুর রহমান আজহারির বই নকলের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি Nov 11, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির Nov 11, 2025
img
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 11, 2025
img
দিল্লি ঘটনায় শোকের ছায়া, বলিউড তারকাদের সমবেদনার বার্তা Nov 11, 2025
img
শামিকে না খেলানোর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সৌরভ Nov 11, 2025
img
বলিউডে প্রত্যাবর্তনেই দীপিকা-আলিয়াদের ছাড়িয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা! Nov 11, 2025
img
অন্তরে ঘৃণা নিয়ে যে নামটির জন্ম হয়েছে, সেটি হলো শেখ হাসিনার নাম : মীর স্নিগ্ধ Nov 11, 2025
img
বিয়ের পিঁড়িতে প্রিয়াঙ্কা জামান, পাত্র কে? Nov 11, 2025
img
দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও শেখ হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না : প্রেসসচিব Nov 11, 2025
img
প্রশাসন ক্যাডারের ৬ কর্মকর্তা পেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব Nov 11, 2025