ভোটারকে ঘুষি মেরে জেলে গেলেন এমপি। জনমনে বিস্ময় জাগানো এ ঘটনা যুক্তরাজ্যের। অভিযুক্ত ওই এমপির নাম মাইক অ্যামসবারি। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে রাস্তায় একজন ভোটারকে ঘুষি মেরে ফেলে দেন তিনি। এরপরও ক্রমাগত ভুক্তভোগীকে আক্রমণ করতে থাকেন অ্যামসবারি। তাকে ১০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
২৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৫ বছর বয়সী অ্যামসবারি দেশটির রানকর্ন এবং হেলসবিকের স্বতন্ত্র এমপি হিসাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার চেশায়ার নির্বাচনী এলাকায় এক ব্যক্তিকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন এই এমপি।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এরইমধ্যে মাইক অ্যামসবারিকে বরখাস্ত করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। ৪৫ বছর বয়সী ভোটার পল ফেলোসকে ঘুষি মারার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ সপ্তাহের জন্য জেলে পাঠানো হয়।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের ২৬ অক্টোবর চেশায়ারের ফ্রডশামে এই ঘটনা ঘটে। তখনকার লেবার এমপি মাইক অ্যামসবারি পল ফেলোসের নামের ওই ব্যক্তির সাথে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নির্বাচনে ভোট না দেয়ার অভিযোগে একপর্যায়ে তাকে ঘুষি মারেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজও সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পরে রানকর্ন এবং হেলসবিকের এই এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি।
পরে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আমেসবারি আদালতে তার কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেন। শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা বিচারক ট্যান ইকরাম আমেসবারিকে ১০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন।
চেস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডেপুটি চিফ ম্যাজিস্ট্রেট ট্যান ইকরাম বলেন, ‘ক্রোধ এবং মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারানোর’ কারণে অ্যামেসবারি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাক-সাজা প্রতিবেদনে দেখা গেছে। সাজা ঘোষণার পর আমেসবারিকে তৎক্ষণাৎ সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আপিলের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় জামিনের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হয়।