শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর শুনানি আয়োজন করে তোপের মুখে পড়লো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। এই সময় শুনানিতে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী, ক্যাবের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা শুনানি বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিয়াম অডিটরিয়ামে শুনানি শুরু হয়। প্রথমে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এরপর বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির পক্ষে তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
দুপুর ১২ টায় শুরু হয় জেরা পর্ব। প্রথমেই জেরা করতে আসেন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, এই অযৌক্তিক প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া উচিত হয়নি। এইভাবে আমদানি করে শুধু জ্বালানি নয়, সব পণ্য আমদানি করে দেশটিকে আমদানি নির্ভর করে ফেলা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ভয়ংকর গণবিরোধী। এই প্রস্তাবের ওপর কোনো গণশুনানি হতে পারে না। এটি বন্ধ করতে হবে। এ সময় ‘প্রহসনের শুনানি বন্ধ করো, করতে হবে, মানি না, মানব না।’ এই স্লোগান দিতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বক্তব্যের শেষে ৩ দফা দাবি জানিয়ে শামসুল আলম অবশিষ্ট পর্ব থেকে ওয়াকআউট করেন। তার বক্তব্যের পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দিতে আসেন।
আর তখনেই কিছু শিক্ষার্থী ও শিল্প মালিকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীরা শুনানি বন্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিইআরসি চেয়ারম্যান বারবার তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও হট্টগোল চলতে থাকে। এ সময় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আগামী রোববারের মধ্যে খারিজ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দাবি না মানলে এ আবেদন রূপ নিতে পারে আন্দোলনে। কয়েক মিনিট এভাবে চলার পর নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পূর্বে মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা দিয়ে হল রুম থেকে বের হয়ে যান চেয়ারম্যান।
দুপুর ২ টায় পুনরায় শুনানি শুরু করা হয়েছে। শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ করা গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তার ওপর শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে।