হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলের প্রতিবেদন

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার কারণগুলোর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়া এই হামলার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে এই হামলা প্রতিরোধে 'সম্পূর্ণ ব্যর্থতা' স্বীকার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ৭ অক্টোবরের হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে, এই হামলা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ স্বীকার করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক কর্মকর্তা রিপোর্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

একই ব্রিফিংয়ে একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা বলেন যে সামরিক বাহিনী স্বীকার করে, তারা ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী’ ছিল এবং আক্রমণের আগে হামাসের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা ছিল।

১৯ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রায় ৫,০০০ বন্দুকধারীর হামলায় প্রায় ১,২০০ জনের প্রাণহানি হয়। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামরিক বাহিনী গাজাকে একটি গৌণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেছিল। তারা ইরান এবং হিজবুল্লাহকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

এছাড়া যুদ্ধের আগের মাসগুলোতে, সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর একটি নতুন মূল্যায়ন তৈরি করতে শুরু করে, যা পরামর্শ দেয়, হামাসের পরিকল্পনা কেবল একটি ‘ভিশন’ নয় বরং সেই পরিকল্পনার একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো ছিল।

তবে, এই মূল্যায়ন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘শত্রুদের সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা এবং ইতিহাস সহ তাদের ভিন্ন বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গির সাথে ভালোভাবে পরিচিতি ছিল না।
এছাড়া সময়ের সাথে সাথে, হামাসের বিষয়ে গোয়েন্দা মূল্যায়ন এবং বাস্তবতার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য এবং ক্রমাগত ব্যবধান তৈরি হয়েছিল বলেও জানানো হয়।


Share this news on:

সর্বশেষ

img
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে বিনামূল্যে ইফতার দেবে ইসিবি Feb 28, 2025
img
জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ: মঞ্চে নাহিদ-আখতারসহ জুলাই অভ্যুত্থানের নায়করা Feb 28, 2025
img
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান Feb 28, 2025
img
সেহেরি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই : ইসলামিক ফাউন্ডেশন Feb 28, 2025
img
দিরলিসের দৃশ্যায়নে বাংলাদেশি নাশিদ, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা Feb 28, 2025
img
শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে যা জানালেন প্রেসসচিব Feb 28, 2025
img
মাঝ আকাশে অক্সিজেন স্বল্পতা, মিয়ানমার থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট Feb 28, 2025
img
গ্র্যাজুয়েট হলেন কেয়া পায়েল, পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা Feb 28, 2025
img
নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১০ পদে থাকছেন যারা Feb 28, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে: গোলাম পরওয়ার Feb 28, 2025