রমজানের প্রথম দিনেই বেগুনের দাম যেন রকেটের গতিতে ছুটেছে! গতকালও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেটাই লাফ দিয়ে ১০০ টাকায় পৌঁছেছে।
মূলত আজকের বাজারে লম্বা বেগুনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, আর এ বেগুন বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মান ভেধে অন্যান্য বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বেগুনের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর রামপুরা বাজারে আশা এক ক্রেতা জানান, আজকে বাজারে বেগুনের দাম চাচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। অথচ এই বেগুন গতকাল তার আগে ছিল ৬০ টাকা কেজি। আজকে রমজানের প্রথম দিন সবাই বাড়িতে একটু বেগুনি করবে, মূলত সে কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা হুট করে দাম বাড়িয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে নিয়েছে।
বেগুনের দাম বিষয়ে মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা বলেন, আজকে বাজার ঘুরে দেখলাম লম্বা দেখতে সুন্দর মোটা বেগুনের দাম চাওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা, পরে আবার সেটা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিকন, পাশাপাশি গোল বেগুনগুলো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাতারাতি বেগুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে করে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষকও কিন্তু সে পরিমাণ দাম পায়নি। মাঝখান থেকে মাঝের ব্যবসায়ীরা এ লাভটা নিয়ে নিচ্ছে।
হঠাৎ কেন বেগুনের বাড়তি দাম এ বিষয়ে উত্তর বাড্ডা এলাকার সবজি বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, গতকাল আমরা বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ভোরে যখন কারওয়ান বাজারে যাই তখন দেখি সবার আগ্রহ বেগুনের প্রতি, সব ব্যবসায়ীরা বেগুন কিনছে। কারণ আজকে ঢাকা শহরের সব বাড়িতে বলতে গেলে বেগুনি বানাবে। যে কারণে আজ পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে বেগুন কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, দোকান খরচ সব মিলিয়ে গতকালের চেয়ে বেশি দামে আজকে বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে। যেহেতু আমাদের কেনা বেশি, সেহেতু একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বেগুনের দামের বিষয় নিয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আজ বেগুনের দাম একটু বেশি। তাই খুচরা বাজারে ১০০ টাকা ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকায় খুচরা বাজারের বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে দাম বসিয়ে দিয়েছে।
কারওয়ান বাজারের আজকের পাইকারি বাজার অনুযায়ী তারা ৬০/৭০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করতে পারত। অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভ করার জন্যই এটা করছে।