জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে সরকার : আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (৫ মার্চ ২০২৫) জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন: ‘এগিয়ে যাওয়ার পথ নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় তিনি এই কথা জানান।

বৃহস্পতিবার ( এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

জেনেভায় চলমান মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম অধিবেশনে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় এই প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বাংলাদেশের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের ওপর উপস্থাপনা করেন।

এ সময় আইন উপদেষ্ট ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি, নিহত শহিদ মুগ্ধ’র সহোদর মীর মাহমুদুর রহমান, ফারজানা শারমিন ইমু প্যানেল আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আইন উপদেষ্ট পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তথ্যানুসন্ধান, প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিবেদনের ফলাফল এবং এই উদ্দেশ্যে সংগৃহীত ও বিশ্লেষিত প্রমাণগুলো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে চলমান জবাবদিহিতা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

হাইকমিশনার তুর্ক বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিগত সরকারের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য এবং পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্টদের সংঘটিত সহিংসতা পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ে সংঘটিত কিছু অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, সত্য প্রকাশ এবং ক্ষত নিরাময় নিশ্চিত করার নিমিত্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতা এবং সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ইরান Jul 19, 2025
img
বিএনপি খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল: রুমিন ফারহানা Jul 19, 2025
img
তদবির নয়, এবার বিচারপতি নিয়োগে কাঠামোগত পরিবর্তন Jul 19, 2025
img
সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে উইমেন্স ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেন Jul 19, 2025
img
ড্রোন ও এআই অস্ত্র নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য-জার্মানি Jul 19, 2025
img
স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ২৫ কেজি দুধে স্নান করলেন হৃদয় মিয়া Jul 19, 2025
img
হাই অল্টিটিউড ম্যাচে কতটা প্রস্তুত জামালরা? Jul 19, 2025
img
সমর্থক গ্রেফতারে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড Jul 19, 2025
img
সরকারই উসকানি দিয়ে এনসিপিকে গোপালগঞ্জ পাঠিয়েছে : এলডিপি মহাসচিব Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশ সরকারের কাজের প্রশংসা করলেন স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট Jul 19, 2025
img
কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : অলি আহমদ Jul 19, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ চায় না বিএনপি Jul 19, 2025
হলফনামায় শেখ হাসিনার মি'থ্যা তথ্য, ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই ইসির Jul 19, 2025
img
মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই : এ্যানি Jul 19, 2025
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমে সরকারকে ‘নজিরবিহীন’ বললো স্পেসএক্স Jul 19, 2025
‘হিরোস উইদাউট কেপস’ ডকুমেন্টারি: জুলাই আন্দোলনের প্রামাণ্য চিত্র Jul 19, 2025
img
জামালপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু, রিসেলার বিএসসিএল Jul 19, 2025
img
দলীয় উন্নয়নেই মনোযোগ, আজও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবেন বাটলার Jul 19, 2025
img
পাকিস্তানের ইরানি দূত এখন এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড Jul 19, 2025