সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের হাল ধরতে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী!

দেশের সড়ক খাতের দায়িত্ব পেলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শেখ মইনউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালনের পর দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা। কিন্তু অনেকেই জানেন না দেশের এতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে কেন নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মইনউদ্দীন?

বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে সড়ক, সেতু ও এ খাতের অবকাঠামো নির্মাণে খরচ করা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। বিগত সরকারের আমলে এ খাতের প্রকল্পগুলোর ব্যয় সর্বাধিক। বাস্তবায়নেও হয়েছে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ। বিপুল বিনিয়োগের পরও সড়ক অবকাঠামোর পূর্ণ সুফল পাচ্ছে না দেশবাসী। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২৫ বছর ধরে একই ধরনের কাজই করে আসছেন শেখ মইনউদ্দীন। তাই দেশের হাল ধরতে তাকেই স্মরন করেছেন ড মুহাম্মদ ইউনুস।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়েছে শেখ মইনুদ্দিনকে। জন্ম বাংলাদেশের খুলনায়। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। শিগগিরই বাংলাদেশে এসে মহাগুরুত্বপূর্ণ এ পদে দায়িত্ব নেবেন তিনি।

অবকাঠামো খাতে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে মার্কিন প্রবাসী শেখ মইনউদ্দিনের। ২০২৩ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার নিরাপত্তা ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন এবং এর আগে ২০১৬ সাল থেকে একই বিভাগের প্রোগ্রাম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।

জানা গেছে, সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে অত্যধিক ব্যয়ের বিষয়টিতে রাশ টানা, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং রাজধানী ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট কমিয়ে আনার জন্য কাজ করবেন শেখ মইনউদ্দীন। সরকারি সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর অত্যধিক ব্যয় হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেবে সরকার Jul 08, 2025
img
বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই: সাকিব Jul 08, 2025
img
গোলাম দস্তগীর গাজীর কোম্পানির শেয়ার, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ Jul 08, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিন : মুরাদ Jul 08, 2025
img
আবার জুটিতে ত্রিশা–ভেঙ্কটেশ! আসছে ত্রিভিক্রমের নতুন ফ্যামিলি ড্রামা Jul 08, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভালো বন্ধু, আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু হবে : প্রেসসচিব Jul 08, 2025
img
ঢাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান Jul 08, 2025
img
চিরঞ্জিতের দুর্দান্ত রূপান্তর: ধর্মেন্দ্র হয়ে জিতে নিলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার Jul 08, 2025
img
'দ্য গার্লফ্রেন্ড' ছবির শ্যুটিংয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আবেগঘন রাশমিকা Jul 08, 2025
img
ভারতের গোলামী থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি : নাহিদ ইসলাম Jul 08, 2025
img
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত Jul 08, 2025
img
শুবমান গিলকে থামাতে সেরা অস্ত্র হতে পারেন আর্চার : ব্রড Jul 08, 2025
img
সাবেক সচিব, বিচারক ও নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জন সরকারি কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল Jul 08, 2025
img
শুধু টাকার জন্য তো ক্রিকেটটা কেউ খেলে না: রনি Jul 08, 2025
img
বাবার তবলায় মায়ের গান, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিল্পী মা: জয়া Jul 08, 2025
আ.লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ইসির চিঠি Jul 08, 2025
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা Jul 08, 2025
img
রণবীর, ইয়াশ ও সাই পল্লবীর ওপর আরোপ করা হয়েছে মিডিয়া ব্যান Jul 08, 2025
২০১৮'র নির্বাচনকে বৈধতা দিল বিএনপি: ফয়জুল করীম Jul 08, 2025
img
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা Jul 08, 2025