রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ ও মহিমান্বিত সময়। এই মাসে মুসলমানরা দিনব্যাপী রোজা রাখেন, যার ফলে দীর্ঘ সময় খাবার থেকে বিরত থাকার কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা ইফতার ও সাহরিতে যথেষ্ট পানি পান করার পরামর্শ দেন, কারণ অনেকের পানিশূন্যতা দেখা দেয় পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পানিশূন্যতা হলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে, তাই রোজার সময় পানিশূন্যতা এড়ানোর পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত জরুরি। রোজা রেখে কিছু খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত, যা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে।
তা না হলে শরীর পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কী সেই খাবার, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
লবণাক্ত খাবার
চিপস, আচার, টিনজাত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে। তখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
কফি, চা ও সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সাহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়
মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা ও এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।
এর ফলে শরীরে তৃষ্ণার্ত ভাব আরো বেড়ে যেতে পারে।
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার
চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলো হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।