ঈদ শপিংয়ে চোখ ধাঁধানো সব ফার্নিচারে শো-রুম সাজিয়েছে নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো। বেশি চাহিদা সোফা ও ডাইনিং টেবিলের। কেউ কিনছেন ঝাড়বাতিও। আর এই কেনাকাটাকে সহজ করতে অনেক প্রতিষ্ঠানই দিচ্ছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়। অফার লুফে নেয়া ক্রেতাদের দাম নিয়েও নেই কোনো অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাশা, অন্য মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি বিক্রি হবে এবার রমজানে।
প্রয়োজন কিংবা পরিবর্তন; ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ঈদ কেনাকাটায় ফার্নিচারের শো-রুমেও আসছেন ক্রেতারা। শো-রুমগুলোতেও শোভা পাচ্ছে আভিজাত্য আর বাহারি নকশার আসবাবপত্র। ঐতিহ্য-আধুনিকতার মেশেলে দৃষ্টিনন্দন এসব বেড, সোফা, ডাইনিং টেবিল তৈরিতে প্রাধান্য পেয়েছে ক্রেতার রুচি ও স্থায়িত্ব।
দেশি কিংবা আমদানি; ভালো মানের ফার্নিচারের মূল্য বেশি সেই বিবেচনায় দাম নিয়ে নেই কারও অভিযোগ। নজর কাড়ছে আলো ঝলমলে ঝাড়বাতিও। বিক্রেতারা বলছেন, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন আসবাবপত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পণ্যের মানেও।
আর ক্রেতারা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে ঘর সাজাতে জুড়ি নেই আসবাবপত্রের। ঈদের সময় নতুন নতুন ডিজাইনের আসবাবপত্র পাওয়া যায়। মেলে নানারকম ছাড়ও।
ঈদ উপলক্ষে নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো সব ধরনের আসবাবপত্রে রমজানজুড়ে রেখেছে ৫-১০ শতাংশ মূল্যছাড়। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অন্য মাসের তুলনায় রমজানে বিক্রি বাড়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা তাদের।
আখতার ফার্নিচার্সের বিক্রয় ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, রমজানে ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন ডিজাইনের ফার্নিচার আসে। থাকে নানা রকম অফারও। এতে বেচাকেনা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
গতবারের তুলনায় এবার ঈদে ভালো ব্যবসা করার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। তাই ব্র্যান্ডের ফার্নিচারে বিনামূল্য বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তাও দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।