যেকারনে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে!

দেশে তিন মাসে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার। শুধু অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যাই নয়, বেড়েছে এসব অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি। তিন মাসের মধ্যে এসব অ্যাকাউন্টে জমা বেড়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, সরকার পালাবদলের পর ব্যাংকিং খাত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তখন ব্যাংক শতভাগ নিরাপদ খাত হবে কি না, এমন দ্বিধায় অনেকে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিয়েছিলেন। সে সময় এসব অ্যাকাউন্ট থেকেও আমানত উত্তোলন হয়েছিল।

সরকার পতনের পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এ খাত নিয়ে আবার আস্থা তৈরি হয়। এছাড়া বিনিয়োগের জন্য তেমন কোনো খাত না থাকার কারণে ব্যাংকেই আমানত ফিরেছে। এজন্য এ সময় আবার কোটি টাকার ওপর অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে কোনো কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ৮ থেকে ১১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এসব কারণে এসব ব্যাংকে গ্রাহকেরা আমানত রাখতে উৎসাহিত হচ্ছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় অনেক প্রভাবশালী। এর মধ্যে অনেক কোটিপতি হিসাবধারীও ছিলেন। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেকেই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে থাকেন। ফলে কমে যায় কোটিপতিদের সংখ্যা। তবে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসতে শুরু করেছে। এতে মানুষের হাতে থাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে। বেড়ে যায় কোটিপ্রতি হিসাবধারী।

ব্যাংকখাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

এসএম

Share this news on: