ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: নিহতদের মধ্যে সিলেটের ১৫ জন

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে নিহত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে অনন্ত ১৫ জন সিলেটের বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। এ ঘটনায় নিহত ৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি।

পরিচয় পাওয়া সিলেটের ৬ জন হলেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ভাই কুলাউরার বাসিন্দা হাফিজ আহসান হাবিব শামীম ও শ্যালক কামরান আহমেদ মারুফ,ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মহিদপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), একই গ্রামের মন্তু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন(২৪), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন সিকদার (২৪), দিনপুর গ্রামের আফজাল মাহমুদ। আর অপর ৮ জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

তিউনিসিয়া উপকুল থেকে বেঁচে যাওয়া মহিদপুর গ্রামের বিলাল আহমেদ ফোন করে এই ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেন। বিলাল নিহত লিটন ও আজিজের চাচা হন।

নিহত আবদুল আজিজের ভাই মফিজুর রহমান জানান, আদম ব্যবসায়ী মো. এনামুল হক তাদেরকে ভারত, শ্রীলঙ্কা, লিবিয়া হয়ে ইতালি পৌঁছানোর কথা বলে সাড়ে ৭ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু সে লিবিয়ায় থাকা আদম ব্যবসায়ীদের টাকা না দেয়ায় ৪০ জনের নৌকায় ৮৬ জনকে তুলে দালাল চক্রটি। অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় নৌকাটি সমুদ্রে ডুবে তার ভাইসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসীজের মালিক মো. এনামুল হককে দায়ী করেন তিনি।

এদিকে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট। এমনকি উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনই বাংলাদেশি। খবর বিবিসি।

তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি ‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসেন।

ত্রিপলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে ৫১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও তিনজন মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিলেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: