ঢাবির বহিষ্কার তালিকায় নেই সৈকতসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হামলায় জড়িত ১২৮ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম নেই বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়ে তারা বলেন, বিভিন্ন হলভিত্তিক চিহ্নিত হামলাকারীদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বহিষ্কার করেছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই এটা দায়সারা তদন্ত শেষ করা হয়েছে। এখানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাবি সেক্রেটারি সৈকতসহ অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম আসেনি। এমনকি ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসীদের অনেকে তদন্ত রিপোর্টে তাদের নাম না পেয়ে ফেসবুকে হাস্যরসাত্মক পোস্ট দিচ্ছেন।

তারা বলছেন তাদের নাম ছাড়া এই লিস্ট মানি না। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরছে অথচ তাদের নাম তদন্ত কমিটি খুঁজে পায়নি। এটা স্পষ্ট ব্যর্থতা।

তারা আরও বলেন, এই উগ্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে বিচার করা উচিত। প্রয়োজনে আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হোক। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে হলভিত্তিক এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক। এতে সব সন্ত্রাসীরা লিস্টে চলে আসবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ১২৮ জনের তালিকায় ২ জন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং একজন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের অনুসারী এবং পটুয়াখালী জেলার ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী রয়েছেন। তবে এই তালিকায় ঢাবি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকতসহ অনেক চিহ্নিত হামলাকারীর নাম দেখা যায়নি।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা বহিষ্কারের তালিকা নয়। এটা সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দুইজনের নাম দিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পটুয়াখালীর যে আছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে ওখানকার প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জম্মু-কাশ্মীরে চলন্ত ট্রেনে ঈগলের ধাক্কা, উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে চালক আহত Nov 09, 2025
img
বিবিসি একটি প্রোপাগান্ডা মেশিন: ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি Nov 09, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা Nov 09, 2025
img
লালমনিরহাটে আ.লীগ ও জাপার ৫৬ ইউপি সদস্য বিএনপিতে যোগ দিলেন Nov 09, 2025
img
৯ নভেম্বর: ইতিহাসের এইদিনে যা ঘটেছিল Nov 09, 2025
img
মেসির জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি Nov 09, 2025
img
ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’, সরিয়ে নেয়া হলো ১ লাখ বাসিন্দাকে Nov 09, 2025
img
বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 09, 2025
img
শরীয়তপুরে যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার পরই সদস্য সচিবের পদত্যাগের ঘোষণা Nov 09, 2025
img
বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমার পথে শাহরুখের ‘কিং’ Nov 09, 2025
img
ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ Nov 09, 2025
img
প্লট জালিয়াতি মামলার অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 09, 2025
img
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর পাকিস্তানকে খোঁচা সূর্যকুমারের Nov 09, 2025
img
ঝুলন্ত সেতুতে যুক্ত হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর Nov 09, 2025
img
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে দেশে আবারও বিপ্লব ঘটবে: সরোয়ার Nov 09, 2025
img
এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে ইসির সভা আজ Nov 09, 2025
img
রাজনীতি থেকে আবার অভিনয়ে ফিরলেন সায়নী ঘোষ Nov 09, 2025
img
নির্বাচনকে ঘিরে ক্লাইমেক্স বাড়তে শুরু করেছে : জিল্লুর রহমান Nov 09, 2025
img
উত্তপ্ত তানজানিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার Nov 09, 2025
img
কিশোরগঞ্জে বিএনপির ৬২ কর্মীর জামায়াতে যোগদান Nov 09, 2025