ঢাকার চকবাজার ও কেরানীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে এবং আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চকবাজার চম্পাতলী সোয়ারীঘাট এলাকায় এক ছিনতাইকারী নিহত হয়। চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, কেরানীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ছিনতাইকারী দলের এক সদস্য পালিয়ে যায়, আর অন্য তিনজন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কেটে চকবাজার চম্পাতলী ঘাটে চলে আসলে স্থানীয় জনতা তাদের পিটুনি দেয়। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্যজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, সকাল সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আবুল খায়ের বলেন, সিআইডির সহযোগিতায় জানা গেছে, নদীর ওপারে মারা যাওয়া একজনের নাম আসিফ, তিনি কামরাঙ্গীর চর এলাকার বাসিন্দা। অন্য নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া পর হাসান মাঝি নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বরিশাল নৌ পুলিশ। নিহত হাসান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সুলতানি গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীর চর মুসলিমনগর কুরবান হাজির বাড়িতে বসবাস করতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা নামাবাড়ি এলাকার নাদু ব্যাপারীর ঘাট থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। বরিশাল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন, "লাশের গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, তবে কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
এসএস