আজকাল হোয়াটসঅ্যাপও নাকি নিরাপদ নয়! এমন কথা প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু অফিস, বাড়ি সর্বত্রই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এই মেসেজিং অ্যাপ। তাই তা ব্যবহার না করেও কোনো গতি নেই। তাই সর্বত্র ব্যবহার করেও কী ভাবে তা নিরাপদ রাখবেন জেনে নিন।
ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল-সহ একাধিক ডিভাইসে হোয়াট্সঅ্যাপ ওয়েব খুলে রাখা এড়ালেই ভালো। ব্যবহারের পর প্রতিটি ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগ আউট করা প্রয়োজন। কম্পিউটারে খোলা হোয়াট্সঅ্যাপ পেজটির ডান দিকে উপরের কোণে তিনটি ডট থাকে। সেখানে ক্লিক করতে হবে। যেতে হবে ‘সেটিংস’ মেনুতে। সেখান থেকে ‘প্রাইভেসি’-তে গিয়ে ‘স্ক্রিন লক’ অপশনে ক্লিক করলে স্ক্রিনে একটি মেসেজবক্স ফুটে উঠবে। সেখানে ক্লিক করে নিজের পছন্দমতো পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এ ভাবে স্ক্রিন লক করেও রাখা যাবে। তাতে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়লেও চ্যাটবক্স ব্যবহার করতে পারবে না।
এমনিতে সমস্ত চ্যাট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে সুরক্ষিত থাকে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ফলে তৃতীয় পক্ষের সেই কথোপকথন দেখার সুযোগ থাকে না।
যদি চ্যাট সুরক্ষিত রাখতে হয়, তা হলে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। তার জন্য প্রথমে সেটিংস-এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট, এবং তার থেকে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে দিলেই হবে।
আপনার ডিভাইসটি যে ভাবে প্যাটার্ন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক করতে পারেন, একই ভাবে হোয়াট্সঅ্যাপেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়ে লক করে রাখা যেতে পারে।
হোয়াটঅ্যাপ বা মেলে আসা কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার মোবাইলে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। এক বার সেটি হয়ে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ তো বটেই, আপনার ফোনটিও অন্যের নজরদারিতে চলে যাবে।
আরএ