আমেরিকা ভুল করলে পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে ইরান : ড. আলী লারিজানি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সিনিয়র উপদেষ্টা ড. আলী লারিজানি বলেছেন, আমেরিকা যদি কোনো ভুল করে, তাহলে ইরান জনগণের চাপে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

গত সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে ইরানি টিভি’র একটি নিউজ টকশোতে এ মন্তব্য করেন আলী লারিজানি।

আলী লারিজানি বলেছেন, ইরানের সাথে সামরিক পদক্ষেপ পরিণতিহীন নয়। ইসলামী বিপ্লবের নেতার ফতোয়া হল পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত নয়। কিন্তু আমেরিকা বা ইসরায়েল যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অজুহাতে ইরানে বোমা হামলা চালায়, তাহলে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের এই সদস্য বলেন, বোমা হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা যাবে না। ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, বোমা হামলার ঘটনা ঘটলে, এমনকি বিলম্বও লক্ষ্য করা যাবে না।
ইরান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে লারিজানি আরও বলেন, বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ ট্রাম্পের কথাকে একধরনের বাগ্মীতা বলে মনে করেন। বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের আচরণ একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া এবং কানাডার জন্য তিনি একটি রেখা টেনেছিলেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দ্বিধায় পরমাণু সমঝোতার অঙ্গীকারগুলোকে পদদলিত করেছে। ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা পরমাণু সমঝোতাকে ভালো চুক্তি বলে মনে করেননি, কারণ আমেরিকায় একজন প্রেসিডেন্ট সহজেই ওই চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছেন, অপরদিকে ইরান সমঝোতার অঙ্গীকারগুলো পূরণ করেছে।

লারিজানি বলেন, ইরান বৃহৎ শক্তিগুলোর মাঝে একটি বিশেষ অবস্থান পেয়েছে, এবং বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইরানের সাথে একটি স্বাধীন সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, কিন্তু আমেরিকার চাপের কারণে তারা তাদের অবস্থানে অটল থাকতে পারে না।

ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের এই সদস্য আরও বলেন, আমেরিকা ছাড়া ইসরাইল এ অঞ্চলে কিছুই করতে পারবে না। ইহুদিবাদী ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ইস্যুকে সম্পূর্ণরূপে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সমস্ত দেশ জানে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের অঙ্গীকারের ওপর তেমন কোনো আস্থা নেই।

আরএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাবির আইবিএ ক্যান্টিন সংস্কারের সময় দেয়াল চাপা পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু Jul 03, 2025
img
বাবু ভাইয়া ফিরতেই রসিকতা শুরু সুনীল শেঠির! Jul 03, 2025
img
বিসিবির কোচ হিসেবে যোগ দিলেন সাবেক ক্রিকেটার নাজিমউদ্দিন Jul 03, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পারমাণবিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন Jul 03, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে স্থানীয় পর্যায়ে নেতা ও নেতৃত্ব তৈরি হবে না : রিজভী Jul 03, 2025
img
রাজবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম Jul 03, 2025
img
যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের সাবেক মেয়র গ্রেফতার Jul 03, 2025
যে ১টা কারণে আপনি ধরা খেতে পারেন Jul 03, 2025
img
তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায়: তিন আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ৪ Jul 03, 2025
ফর্মহীন লিটন দাস ! ৮ ইনিংসে মাত্র ১৩ রান, কেন এমন অবস্থা? Jul 03, 2025
বলিউডে অভিষেক শানায়ার, ছবির ট্রেইলার দেখে আবেগাপ্লুত বাবা সঞ্জয় কাপুর Jul 03, 2025
বাতিল প্রতীকী ব্ল্যাকআউট, বহাল থাকবে বাকি আয়োজন Jul 03, 2025
যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে বিশ্বের নিরপেক্ষ ১২টি দেশ Jul 03, 2025
শাপলা পেতে ‘মরিয়া’ নাগরিক ঐক্য, আশাবাদী এনসিপিও Jul 03, 2025
ভ্যাপসা গরমে জাবি ছাত্রদলের মানবিক সাড়া Jul 03, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে জোট হয়নি, পিআর পদ্ধতি চায় গণঅধিকার Jul 03, 2025
প্রতারণা করে কোটি টাকা লো'পা'ট;ফুডপান্ডার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা! Jul 03, 2025
img
বাংলা নাটকে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে যে ছয়জন অভিনেত্রী Jul 03, 2025
‘আশুরা’ উপলক্ষে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি Jul 03, 2025
img
কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে দাবি মেনে নিল এনাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ Jul 03, 2025