বলিউড সুপারস্টার সালমান খান তার ক্যারিয়ারে এক অদ্ভুতভাবে হৃদয়ভিত্তিক একটি ত্রয়ী সিনেমা তৈরি করেছেন, যার প্রতিটি গল্প ঘুরছে হৃদয় এবং তার মাধ্যমে প্রেম, জীবন এবং পুনর্জন্মের উপর। ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিকান্দার সিনেমার মাধ্যমে সালমান খানের এই বিশেষ “হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট ট্রিলজি” সম্পূর্ণ হয়েছে।
ত্রয়ী সিনেমার কাহিনী:
১. হ্যালো ব্রাদার (১৯৯৯) – হাস্যরস এবং হৃদয়ের অদলবদল
১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় সালমান খান অভিনয় করেন এক হিরো চরিত্রে, যার আকস্মিক মৃত্যু ঘটার পর তার হৃদয় একজন পুলিশ অফিসারের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর শুরু হয় এক অভিনব প্রেমের কাহিনী যেখানে ওই হৃদয়ের প্রেম রানি মুখার্জির প্রতি রয়ে যায়।
২. দিল নে জিসে আপনা কহা (২০০৪) – মৃত্যুর পরেও ভালোবাসা
এই রোমান্টিক ড্রামা চলচ্চিত্রে সালমান খানের সাথে প্রীতি জিন্টা এবং ভূমিকা চাওলার অভিনয় ছিল। এখানে প্রীতি জিন্টা চরিত্রের মৃত্যুর পর তার হৃদয় দান করা হয় এক যুবতী রোগী ধানির শরীরে। হৃদয় প্রতিস্থাপনের পর ধানি ধীরে ধীরে সালমানের চরিত্র রিশভের প্রেমে পড়ে।
৩. সিকান্দার (২০২৫) – অ্যাকশন এবং মানবিকতা
২০২৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিকান্দার সিনেমায় সালমান খান অভিনয় করেছেন এক নায়কের চরিত্রে, যিনি অঙ্গদান এবং হৃদয় প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সক্রিয়। এই সিনেমা এক দৃষ্টিকোণ থেকে মানবিক পুনর্জন্মের বার্তা দেয়, যা প্রচলিত মশালাদার সিনেমার মধ্যে সংবেদনশীল বার্তা হিসেবে উঠে এসেছে।
এনিমেন্টের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
যেখানে অন্যান্য বলিউড সুপারস্টাররা অ্যাকশন ও দেশাত্মবোধক সিনেমার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, সেখানে সালমান খানের এই হৃদয়ভিত্তিক ত্রয়ী সিনেমা এক অভিনব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। সালমান যেন ‘হার্ট হিরো’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, যারা তার সিনেমার মাধ্যমে হৃদয়ের গুরুত্ব এবং সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেছেন।
দর্শকের প্রতিক্রিয়া:
এই সিরিজ নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত পজিটিভ। একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, “শুধু সালমানই পারেন হৃদয় এবং সম্পর্কের ধারণাকে তিনটি ভিন্ন ঘরানায় নিয়ে আসতে।”
অন্য একজন দর্শক বলেন, “অভিনবভাবে, সালমান হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট থিমটি সিনেমায় নিয়ে এসেছেন যা আগেও কেউ করেনি!”
সিকান্দারের পরবর্তী পদক্ষেপ:
সিকান্দার সিনেমা কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও, এটি সবার কাছে হৃদয় সম্পর্কিত সচেতনতা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রশংসিত হয়েছে। এখন সকলের নজর সালমানের পরবর্তী সিনেমায়, যেখানে তিনি কী নতুন করে হৃদয়ের গল্প বুনবেন তা দেখার অপেক্ষা।
আরএ/টিএ