দক্ষিণী চলচ্চিত্রে গ্ল্যামার ও নাচের জোরে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, একের পর এক ব্যর্থ সিনেমা শ্রীলীলার কেরিয়ারে স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক ছবি ‘রবিনহুড’ দিয়ে বড়পর্দায় ফিরলেও, দর্শক ও সমালোচক—দু’পক্ষই হতাশ। এর আগেও ‘এক্সট্রা-অর্ডিনারি ম্যান’, ‘আদিকেশব’ এবং ‘স্কান্দা’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
বর্তমানে শ্রীলীলার অধিকাংশ চরিত্রই একরকম—গ্ল্যামার ও নাচের দৃশ্যে সীমাবদ্ধ। কেবলমাত্র ‘ভগবন্ত কেসরি’ ছবিতে কিছুটা আবেগঘন চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে সামগ্রিকভাবে বলা যায়, নায়কের ছায়াতেই আবদ্ধ থেকেছেন তিনি। এই ধরণের একঘেয়ে চরিত্রে দর্শকের আগ্রহ ক্রমশ কমছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
‘ধমাকা’ ছবিতে রবি তেজার সঙ্গে তার জুটি নজর কেড়েছিল ঠিকই, তবে একই ফর্মুলা বারবার চলবে না—এ কথা স্পষ্ট। অন্যদিকে ‘গুন্টুর কারাম’-এর মতো ছবিতে উপস্থিতি থাকলেও, কনটেন্টের অভাব ছিল প্রকট। যার ফলে নাম থাকলেও, শ্রীলীলার নিজস্ব অভিনয় দক্ষতা এখনো চোখে পড়েনি দর্শকের।
শিগগিরই আবারও রবি তেজার সঙ্গে আসছেন তিনি ‘মাস জাথারা’ ছবিতে। তবে ছবিটির ধরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে—এটিও নাকি আরেকটি “মাসধর্মী” ছবি, যেখানে চরিত্রে গভীরতার আশা কম।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলীলার জন্য বড় সুযোগ হতে চলেছে তামিল ও হিন্দি সিনেমা। সুদা কঙ্গরার পরিচালনায়, শিবকার্তিকেয়নের বিপরীতে আসছে ‘পরাশক্তি’। টিজার অনুযায়ী, এই ছবিতে শ্রীলীলার চরিত্রে থাকবে অভিনয়ের বিস্তার।
আরও বড় চমক হিসেবে হিন্দি সিনেমায় তার অভিষেক হতে চলেছে জনপ্রিয় অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে। এই প্রজেক্ট শ্রীলীলার জন্য এক নতুন অধ্যায় হতে পারে—যা তাঁকে দক্ষিণী টাইপকাস্টিং থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তেলুগু সিনেমায় ব্যর্থতা থাকলেও, শ্রীলীলার কেরিয়ার এখনো শেষ নয়। সঠিক গল্প ও গভীর চরিত্র মেলাতে পারলে, তামিল ও হিন্দি সিনেমায় নতুন রূপে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন তিনি।
এসএম/টিএ