হামজাদের ম্যাচ আয়োজনে বাফুফের ভাবনায় সিলেট-চট্টগ্রাম

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ছয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, যার মধ্যে তিনটি হোম ম্যাচ দেশের তিনটি ভিন্ন ভেন্যুতে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলেও, বাকি দুটি হোম ম্যাচ – ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে – যথাক্রমে সিলেট ও চট্টগ্রামে আয়োজন করার চিন্তা রয়েছে।

বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস বলেন, “ফুটবল উন্মাদনা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে আমরা তিনটি হোম ম্যাচ তিন জেলায় আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সিলেটে ভারত-বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা আছে।”

সিলেট একসময় দেশের অন্যতম শীর্ষ ফুটবল ভেন্যু হলেও, এখন আর নিয়মিতভাবে বাফুফে সেখানে ম্যাচ আয়োজন করছে না। তবে এবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজনের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।

বাফুফের নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, “সিলেট স্টেডিয়ামে কিছু আর্থিক দায়-দায়িত্ব রয়েছে, প্রায় কোটি টাকার ওপরে বকেয়া রয়েছে। এসব বিষয়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক দিক বিবেচনা করতে শিগগিরই আমরা সিলেট যাচ্ছি।”

এই উদ্যোগ সফল হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ফুটবল আয়োজনের সুযোগ আরও বাড়বে, আর ফুটবলের প্রতি স্থানীয় মানুষের আগ্রহ ও সম্পৃক্ততাও বাড়বে বলে মনে করছে বাফুফে।

বাফুফেকে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম ৩০ বছরের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাই ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ চট্টগ্রামের আয়োজনের ভাবনা ফেডারেশনের। সেই আলোকে বাফুফে ২৬ এপ্রিল নির্বাহী সভা চট্টগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ফুটবলকে বরাদ্দ দেওয়ায় খানিকটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সে কারণে ২৬ এপ্রিল নির্বাহী সভার আগে চট্টগ্রাম জেলা ও ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভারও পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাফুফে মাঠের কাজও শুরু করেছে। আগামীকাল বিকেল ৩টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফে দুই পক্ষের কর্তারা আবার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন।

১০ জুন সিঙ্গাপুরের ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের সিদ্ধান্ত এসেছিল কম্পিটিশন কমিটির সভায়। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়নি। সভার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই উদ্যোগের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘সিলেট ও চট্টগ্রামে অনেকদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। দুই স্টেডিয়াম পরিদর্শন এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনুমোদনেরও বিষয় রয়েছে। এই কাজগুলো এগিয়ে রাখার পর আমরা কম্পিটিশন কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সভাপতির প্রাথমিক নির্দেশনা ফুটবল বিকেন্দ্রীকরণের।’


এসএস/টিএ

Share this news on: