আগামী রোববার শুরু হতে যাচ্ছে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ওপেন দাবা টুর্নামেন্ট। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান ও মনন রেজা নীড়ের। তবে ভিসা জটিলতার কারণে তাদের অংশগ্রহণ এখন প্রায় অনিশ্চিত।
দুই দাবাড়ুই বিমানের টিকিট কেটেছিলেন আগেভাগেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে টিকিট বাতিল করতে হয়েছে। ফাহাদ ও নীড়ের পরিবার জানিয়েছে, গত ২৫/২৬ মার্চ আয়োজকদের কাগজপত্র যুক্ত করে অনলাইনে ই-ভিসার আবেদন করেছিলেন তারা। অথচ দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও তাদের আবেদন ‘পেন্ডিং অ্যাপ্রুভাল’ দেখাচ্ছে।
থাইল্যান্ড বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রক্রিয়ায় এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে বলে জানা গেছে। এই দীর্ঘসূত্রতা দুই প্রতিশ্রুতিশীল দাবাড়ুর স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, আগের আসরে মনন রেজা নীড় ব্যাংকক টুর্নামেন্ট থেকেই আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম অর্জন করেছিলেন। এবার তার লক্ষ্য ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার (জিএম) নর্ম অর্জনের। ফাহাদও এরই মধ্যে একটি জিএম নর্ম অর্জন করেছেন এবং এবার তার লক্ষ্য ছিল আরও একটি জিএম নর্ম নিশ্চিত করা।
এদিকে, এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল দুই নারী দাবাড়ু ওয়াদিফা ও ওয়ালিজারও। কিন্তু থাই ভিসার জটিলতা বিবেচনায় তারা আবেদনই করেননি। বর্তমানে তারা দুবাইয়ে কয়েকটি দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তবে তাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃষ্ঠপোষক সংকট।
ব্যক্তি নির্ভর ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা প্রায়ই ভিসা জটিলতায় পড়েন। গলফার সিদ্দিকসহ বহু ক্রীড়াবিদ এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন অতীতে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয় না, খেলার ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে বড় দুর্বলতা তৈরি করে।
এসএস