এদিকে, বৈশাখ উদযাপনকে রঙিন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে জমে উঠেছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ উৎসবের রূপ ফুটিয়ে তুলতে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে বর্ণিল মুখোশ, রঙিন মোটিফ আর বিশাল আকৃতির কাঠামো।
শিক্ষার্থীরাই বানাচ্ছেন রাজা-রানীর বিশাল মুখোশ, পেঁচা, জাতীয় পশু বাঘ, ইলিশ মাছ, পাখি ও ফুলের রঙিন অবয়ব। এসব কাজে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ-কাঠ এবং কাগজ। এর মাধ্যমে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে গ্রাম বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি। উঠে আসবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিও।
এ বছর বৈশাখ উদযাপনের নানা বিষয় নিয়ে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে ঢাবিতে প্রেস ব্রিফিং করে আয়োজন কমিটি।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করছি না। তবে পুরোনো নাম ও ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো বার্তা রয়েছে। একটি হচ্ছে, নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। কিছু মোটিভ সেই কাজটি করছে। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, সেটি হচ্ছে মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।’
শোভাযাত্রার জন্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন।
আরএম/এসএন