সাম্প্রতিক শুল্ক ছাড়কে স্বাগত জানালেও এটিকে ‘ছোট পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে চীন। দেশটির দাবি, আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অন্যায় শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে সমতার ভিত্তিতে সংলাপে ফিরতে হবে।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চীন থেকে আমদানি হওয়া স্মার্টফোন, কম্পিউটারসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক পণ্যকে বর্ধিত শুল্কের আওতা থেকে বাদ দেয়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্যে আর অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না, বরং আগের ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক কার্যকর থাকবে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার তাদের অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, “এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ও ভুল ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির সংশোধনের দিকে একটি ছোট পদক্ষেপ মাত্র।” মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা অন্যায় পদক্ষেপগুলো পুরোপুরি বাতিল করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সমান সংলাপের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঠিক পথে ফিরে আসে।”
র্যান্ড চায়না রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক এই ছাড় প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন ডলারের আমদানিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার মধ্যে ১০১ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য এসেছে চীন থেকে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কের উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এই শুল্ক ছাড় সেই উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা তৈরি করলেও চীন মনে করছে, এটা যথেষ্ট নয়—আরও বড় পদক্ষেপ প্রয়োজন।
এসএস/এসএন