মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গত শনিবার আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জয় পেলেও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচ চলাকালীন ফিল্ডিংয়ের সময় আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। ম্যাচ শেষেও তার বক্তব্যে উঠে আসে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
মূলত আরেক আম্পায়ার তানভীর আহমেদের একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি হৃদয়। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে এলে সৈকতের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর রেশ টানেননি হৃদয়; ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমেও নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরই ফলশ্রুতিতে তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিসিবির আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, “হৃদয়ের আচরণ ছিল একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং সেটিকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। কেউ সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালেই শাস্তির আওতায় আসতে হবে।”
মিঠু আরও জানান, ম্যাচ রেফারি নরম মনোভাব দেখিয়েছেন বলেই হৃদয়কে শুধু দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় শাস্তি আরও গুরুতর হতে পারত। তার ভাষায়, “আইসিসি যে নিয়ম ফলো করে, আমরাও সেটিই অনুসরণ করি।”
হৃদয়ের পক্ষ থেকে করা এক মন্তব্য— “তিনি যদি আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার হন, আমিও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়”— প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, “এটি অজ্ঞতার পরিচয়। এমন হলে প্রয়োজন হলে প্লেয়ারদের জন্য নিয়ম-কানুন বিষয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে।”
সংক্ষেপে, বিসিবির বার্তা স্পষ্ট— ক্রিকেট মাঠে শৃঙ্খলা ভাঙলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। নিয়ম সবার জন্য সমান, সে যত বড় খেলোয়াড়ই হোক না কেন।
এসএস/এসএন