২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তবে একই বছরের ৬ মার্চ অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে, সুমি আক্তারকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষের আইনজীবীও রিভিশন দায়ের করেন।
২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ উভয় পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন। সেই সঙ্গে সুমি আক্তারকে দায়মুক্তির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
মামলাটি ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয় এবং তাদের একটি আট বছরের মেয়ে রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। এরপর গণমাধ্যমে তিনি পুরো ঘটনা জানতে পারেন।
রাকিব অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন— যা ধর্মীয় ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ। এতে তিনি ও তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং সামাজিকভাবে চরমভাবে অপমানিত হয়েছেন।
এসএস/এসএন