পুলিশ সদর দপ্তরে ডিএমপি থেকে ঢাকার বাইরে বদলি চেয়ে সাড়ে সাত হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বদলির আবেদনকারী এই সদস্যদের মধ্যে আছেন কনস্টেবল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদের কর্মকর্তারা।
আবেদনের এই হিড়িকে পুলিশ সদর দপ্তর এ মুহূর্তে কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের বদলির সব আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএমপি থেকে কাউকে সরানো যাবে না বলে সব বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এরপরও চেষ্টা-তদবির থামছে না।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ডিএমপির মোট অনুমোদিত সদস্য ৩২ হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে এসআই ২ হাজার ৫০০, সার্জেন্ট ১ হাজার ৩৩, এসআই (সশস্ত্র) ৪৮৯, টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ৬৮, এএসআই ৪ হাজার ৮৬, সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ২৩৮, নায়েক ১ হাজার ৫৫৪ এবং কনস্টেবল ২২ হাজার ৪২ জন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ডিএমপির সাড়ে ৭ হাজারের বেশি সদস্য বদলির জন্য আবেদন করেছেন। যাঁদের বেশির ভাগ কনস্টেবল ও এএসআই। এসআইরাও রয়েছেন। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য রেঞ্জ, মহানগর ও ইউনিট থেকেও বদলির অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে।
১২ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ডিসেম্বর পর্যন্ত সবার আবেদন বাতিল করা হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিভিন্ন স্মারকের মূলে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত পদের পুলিশ সদস্য, যাঁরা অন্যত্র বদলি হওয়ার আবেদন করেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের আবেদন বিবেচিত হয়নি। শুধু পিআরএলে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়। রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ও ইউনিটের সব কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের এই তথ্য জানাতে বলা হয়। এরপরও কেউ অন্যত্র বদলি হতে চাইলে তাঁদের আবার আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯ মার্চ ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত আরেক নির্দেশনায় কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত বদলির বিষয়ে আবার আবেদন বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, এতসংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় সব আবেদন মূল্যায়ন করলে বিভিন্ন ইউনিটে ফোর্স ও জনবলের ঘাটতি হতো। তাই সমন্বয় করে সব সময় বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়।অবশ্য পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগ বলছে, বদলির এই আবেদন স্বাভাবিক।
এফপি/এস এন