ভারত ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক সাফল্য কম নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর গত মাসে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছে। কিন্তু টেস্টে তাদের পারফরম্যান্স ভুলে যাওয়ার মতো, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতেও হেরেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে হারের পর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআই পর্যালোচনা করে। এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ মুম্বাইয়ে কোচ গৌতম গম্ভীর, অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিসিসিআই নির্বাচক অজিত আগারকার ও সচিব দেবজিত সাইকিয়ার মধ্যে একটি বৈঠকও হয়। এই বৈঠকের আগেই গুঞ্জন শুরু হয়, ভারত দুজন সহকারী কোচকে চুক্তি থেকে বাদ দেবে।
গুঞ্জনই সত্যি হলো, কয়েকজন না হলেও সহকারী কোচ অভিষেক নাইয়ারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিসিসিআই। খবর ক্রিকইনফোর।
রাহুল দ্রাবিড়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সময় গৌতম গম্ভীর নিজের পছন্দে দুজন সহকারী কোচ নিয়োগ করেন। তাদের মধ্যে একজন নাইয়ার, গম্ভীর তার সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও কাজ করেছেন। টিম ইন্ডিয়ায় তার সাপোর্ট স্টাফে আরও একাধিক সদস্য রয়েছেন। রায়ান টেন ডেসকাটও সহকারী কোচ। বোলিং কোচ মরনে মরকেল। এছাড়াও রয়েছেন তিনজন থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ, দুজন ম্যাসাজ থেরাপিস্ট, একজন সিনিয়র এবং জুনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট, একজন ডাক্তার, একজন নিরাপত্তারক্ষী, অপারেশন্স ম্যানেজার, কম্পিউটার অ্যানালিস্ট, কয়েকজন লজিস্টিক্যাল এবং মিডিয়া ম্যানেজার।
সম্প্রতি সাদা বলে পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার পেছনে নাইয়ারকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। এই কোচ কাজ করেছেন দিনেশ কার্তিক, শ্রেয়াস আইয়ার, ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও অংকৃশ রঘুবংশীর সঙ্গেও।
নাইয়ারকে বাদ দিয়ে ভারত একজন ট্রেইনার নিয়োগ করেছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান লে রক্স। প্রায় দুই যুগ আগে তিনি ভারত দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। রক্স এখন কাজ করছেন পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে। ভারত দলে তিনি স্থলাভিষিক্ত হবেন সোহাম দেসাইয়ের। দেসাই ২০১৯ সাল থেকে স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
এসএন