২০২৪ সালের ২৩ জুন, দুই পরিবারকে সাক্ষী রেখে আইনি মতে বিয়ে করেছেন। সোনাক্ষী-জাহিরের (Sonakshi, Zaheer) ভিনধর্মী বিয়ে নিয়ে পরবর্তী মাস কয়েকজুড়ে কম চর্চা হয়নি। হিন্দু পরিবারের মেয়ে হয়ে মুসলিম পরিবারে বিয়ে করায় নেটপাড়ার রোষানলে পড়তে হয়েছিল সোনাক্ষী সিনহাকে (Sonakshi Sinha)। এককথায় বিয়ের পর একাধিকবার শুধুমাত্র ‘ধর্মের কারণে’ই বিতর্কের শিরোনামে বিরাজ করেছে শত্রুঘ্নকন্যা। শোনা যায়, এই ভিনধর্মী বিয়ের জন্যই নাকি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব-কুশ তাঁদের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি! তবে নিন্দুক, নেটপাড়ার নীতিপুলিশদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মিঞা-বিবি’ দিব্যি সুখের ঘরকন্না পেতেছেন। তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই সংসারসুখের ঝলক মেলে। সম্প্রতি বিয়ের পর প্রথম ‘গুড়ি পড়বা’ এবং ইদ উদযাপন করে সম্প্রীতি বজায় রেখেছেন সোনাক্ষী সিনহা, জাহির ইকবাল। তবে তাতেও কটাক্ষের রেশ থামেনি!
সম্প্রতি জনৈক নেটিজেন তারকাদম্পতির ছবি দেখে দাবি করেন, ‘আপনাদের ডিভোর্স ঘনিয়ে আসছে।’ এহেন কুমন্তব্য পড়ে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন সোনাক্ষী। অতঃপর পালটা পাঠ দিতেও ছাড়লেন না! সেই নেটিজেনের মন্তব্যের পালটা একেবারে ‘তুই-তোকারি’ করে শত্রুঘ্নকন্যা লেখেন, ‘আগে তোর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হোক, তার পর আমরা করব। এই প্রতিজ্ঞা করলাম!’ অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্য দেখে নেটপাড়ায় হাসির রোল। অনুরাগীরা ‘দাবাং গার্ল’-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই একাধিকবার ভিনধর্মী বিয়ে নিয়ে নেটপাড়ার রোষানলে পড়তে হয়েছে সোনাক্ষী সিনহাকে। আগে কমেন্ট বক্স বন্ধ করে রাখতেন। তবে মাসখানেক ধরেই ট্রোলারদের ঝাঁজালো উত্তর দিয়ে হতবাক করে দিচ্ছেন অভিনেত্রী।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী সিনহা জানিয়েছিলেন, “আমাদের বিয়ের মাঝে ধর্ম কখনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা কোনওদিন ধর্মটাকে সেভাবে গুরুত্বই দিইনি। ভেবেছিলাম, আমরা একে-অপরকে ভালোবাসি এবং বিয়ে করতে চাই। জাহির কোনওদিন ওঁর ধর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি। আমিও আমার ধর্ম ওঁর উপর চাপিয়ে দিতে চাইনি। আমাদের মধ্যে কখনও ধর্ম নিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি।” গত জুন মাসে স্পেশাল ম্যারেজ আইনের আওতায় জাহির ইকবালের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। সেপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী মত, “পরিস্থিতি যেমন ছিল তাতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করাই আমাদের সমীচীন বলে মনে হয়েছে। যেখানে আমাদের কাউকে কারও ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে না।”
এসএন