ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাটালিয়া ট্যারিয়েন জানিয়েছেন, কিভাবে মজা করে চ্যাটজিপিটি কে করা একটা সাধারণ প্রশ্নই শেষ পর্যন্ত তার ও তার অনাগত সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছে।
তিনি চোয়ালে হালকা টান অনুভব করায় চ্যাটজিপিটি কে প্রশ্ন করেছিলেন এর কারণ সম্পর্কে। যদিও তিনি বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি নাটালিয়াকে রক্তচাপ মেপে দেখতে বললো।
তিনি রক্তচাপ মেপে দেখলেন, তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
নাটালিয়া ভাবলেন হয়তো কিছুক্ষণ পরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে রক্তচাপ আরও বাড়তে থাকে এবং তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ব্যাপারটি নিয়ে চ্যাটজিপিটিকে আবার প্রশ্ন করা হলে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সটি নাটালিয়াকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পরামর্শ দেয়।
পরবর্তীতে নাটালিয়া হাসপাতালে গেলে তার রক্তচাপ পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় তার রক্তচাপ ২০০/১৪৬ — যা খুবই বিপজ্জনক। তখনই ডাক্তাররা বলেন, ‘আর দেরি নয়, এখনই বাচ্চা ডেলিভারি করতে হবে।’
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে এক ডাক্তার তাকে বলেন, ‘তুমি যদি হাসপাতালে না এসে রাতে ঘুমিয়ে যেতে, আর হয়তো চোখ খুলতে পারতে না।
নাটালিয়ার ছেলে এখন সুস্থ, তিনিও ভালো আছেন।’
তিনি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘একটা ছোট প্রশ্ন, একটা সাধারণ উপসর্গ। আর সেখান থেকেই আমার আর আমার সন্তানের প্রাণ রক্ষা হল। চ্যাটজিপিটি সত্যিই আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে।’
এই ঘটনার মতোই আরেকজন রেডিট-এ জানিয়েছেন, তার ৫ বছরের পুরোনো চোয়ালের সমস্যা চ্যাটজিপিটি কয়েক সেকেন্ডেই সমাধান করে দিয়েছিল।
এই ধরনের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের কৌতূহল তৈরি করছে। তবে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, মাঝে মাঝে আর্টিফিসিয়াল ইনিটেলিজেন্স আমাদের সঠিক সাহায্য করলেও কোনো চিকিৎসকের বিকল্প হতে পারে না।
এসএম/টিএ