শীঘ্রই অগ্রগতি না হলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা বাদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশকে শান্তিচুক্তির প্রস্তাব জানায় দেশটি। কিন্তু এই প্রস্তাবে এখনও কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি কিয়েভ-মস্কো। কয়েকদিনের মধ্যে শান্তি চুক্তিতে সাড়া না দিলে যুদ্ধ মধ্যস্থতা থেকে সরে দারাবে ওয়াশিংটন। ১৮ এপ্রিল ফ্রান্সের প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণা দেন। এর আগে সেখানে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রুবিও বলেন, ‘আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। যদি তা না হয়, আমি মনে করি আমাদের অন্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। গুরুত্ব দেওয়ার মতো আমাদের আরও অনেক বিষয় আছে।’
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক নিয়ে রুবিও জানান, তারা খুবই আন্তরিক ছিলেন এবং গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন। বৈঠকে মস্কো-কিয়েভ চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন রুবিও। বৈঠকে রুবিওর পাশাপাশি এ সংকট সমাধানে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর একক উদ্যোগে এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু হয়। এতে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ইউরোপের দেশগুলো, আলোচনার টেবিলে থাকতে চায় তারাও। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ২০২২ সালে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা হোঁচট খায়।
শীঘ্রই লন্ডনে নতুন করে বৈঠক বসতে যাচ্ছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা। বৈঠকে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউক্রেন। যুদ্ধ বদ্ধে এই বৈঠক থেকে আরও সুনির্দিষ্ট জবাব আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মার্কো রুবিও।
এসএম/টিএ