বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। পর্দায় থাকার চেয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় থাকতেই যিনি বেশি পছন্দ করেন। এইতো কদিন আগেই গৃহকর্মীকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর এবার ঢাকা বোট ক্লাবের বর্তমান সভাপতি নাসির মাহমুদ সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পরীমনির বিষয়ে। তার দাবি অনুযায়ী সাবেক আইজিপি ও ঢাকা বোট ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদের সঙ্গে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো।
পরীমনির এই বোট ক্লাব কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন। অভিনেত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে চাকরি হারিয়ে বসতে হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে। পরীমনির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন ও স্ত্রীর অবর্তমানে সাকলায়েন রাজারবাগে নিজ বাসায় অভিনেত্রীকে নিয়ে গিয়ে ১৭ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ পেয়েছিলো পুলিশ। পরীমনির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চলাকালে সাকলায়েন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এডিসির দায়িত্বে ছিলেন। তখন এই অভিনেত্রীর মামলার তদন্ত করছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকা বোট ক্লাবের রিভারভিউ লাউন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাসির মাহমুদ বলেন, “পরিমনি কান্ডের পর আমি তিন বছরে বোট ক্লাবে আসতে পারিনি। আমি যেভাবে হেনস্থা হয়েছি, সেভাবে হেনস্থা হওয়ার কথা ছিল না। পরিমনি এই ক্লাবের সদস্য ছিলেন না, তিনি কারো গেস্ট হয়ে ক্লাবে এসেছিলেন। ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী, গেস্ট আনতে হলে অনুমতি লাগে, কিন্তু পরিমনির কোনো অনুমতি ছিল না। আমি প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।”
এসময় তিনি আরও জানান, ‘বেনজিরের ক্ষমতার প্রভাব সম্পর্কে-বেনজির তিন বছর আমাকে ক্লাবে আসতে দেয়নি। যখনই আমি ক্লাবে যেতাম, আমাকে আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হতো। তার বাহিনী ছিল, সে অনেক কিছু করতে পারতো। আমি শুধু একজন সাধারণ ব্যবসায়ী, তার সঙ্গে ফাইট দেয়ার মত অবস্থা আমার ছিল না। তবে আমি হাল ছাড়িনি, আইনি লড়াই লড়ে গেছি। আমি তিনবার বেনজিরের নামে লিগাল নোটিশ দিয়েছিলাম।”
সাবেক আইজিপি বেনজীর অবৈধভাবে বিনাভোটে বোট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বলেও এসময় তথ্য দেন নাসির মাহমুদ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন আবারও আলোচনায় চিত্রনায়িকা পরীমনি।
এসএম/এসএন