হিন্দি সিনেমার রুপোলি পর্দায় অনিল কাপুর ও মাধুরী দীক্ষিত মানেই ম্যাজিক। ‘তেজাব’ থেকে ‘রাম লখন’, ‘বেটা’ থেকে ‘পুকার’—একসঙ্গে কাজ করে দর্শকদের হৃদয় জিতেছেন বহুবার। অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর সেই কারণেই তাঁদের ঘিরে এক সময় উড়েছিল প্রেমের গুঞ্জন।
তবে বাস্তবে সেই সম্পর্কের কথা বরাবর অস্বীকার করেছেন মাধুরী। ১৯৮৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “না! আমি ওর (অনিল) মতো কাউকে বিয়ে করতাম না। ও খুব হাইপারসেনসিটিভ। আমি চাই আমার স্বামী হোক শান্ত, কুল টাইপের।”
তাঁর কথায়, অনিলের সঙ্গে কাজ করতে বরাবরই স্বচ্ছন্দ ছিলেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কোনও সম্পর্ক ছিল না। যদিও প্রেমের গুজবগুলো উপভোগ করতেন বলেও স্বীকার করেছিলেন অভিনেত্রী।
তখনও অনিল কাপুর বিবাহিত, স্ত্রী সুনীতা কাপুরকে অনেক আগেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও অনিল-মাধুরীর রসায়ন নিয়ে চলেছিল গসিপের জোয়ার। পরে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে পর্দায় জুটি বাঁধার পর সেই জল্পনায় কিছুটা ভাটা পড়ে। আর তখনই বাজারে আসে নতুন গুঞ্জন—সঞ্জয়-মাধুরীর বাস্তব প্রেম।
‘সাজন’ ও ‘খলনায়ক’-এর পর তাদের প্রেমের খবরে উত্তাল হয়েছিল বলিউড। কিন্তু সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়ার পর সেই সম্পর্ক থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন মাধুরী। যদিও কোনওদিন এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি তিনি।
বর্তমানে নিজের বেছে নেওয়া জীবনসঙ্গীর সঙ্গেই সুখে আছেন নায়িকা। শান্ত, স্পষ্টভাষী ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে এখন পারিবারিক জীবন নিয়েই মাধুরীর পর্দার বাইরের গল্প।