দুই যুগ পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হতাশাজনক দিন

সবশেষ ২০০১ সালে এমন এক দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকায় সেদিন বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৭ রানে। এরপর আর কখনোই দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২০০ এর নিচে অলআউট হয়নি টাইগাররা। সেটা হলো একেবারে দুই যুগ পর এসে। সিলেটে খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেখিয়ে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।

দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশ অবশ্য খুব একটা আশাবাদী ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ৩১ রানে ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ৩২ রানে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন নিয়াগুচির বলে। দুজনেই ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। দলের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। এই জুটি বাংলাদেশের স্কোর টেনে নিয়েছিল ৯৮ রান পর্যন্ত।

৬৬ রানের ওই জুটি ভাঙে লাঞ্চের পর। আর সেটাই ছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুর বার্তা। শান্ত আউট হন ব্লেসিং মুজারাবানির ফাঁদে পা দিয়ে। শর্ট লেন্থ আর ফুল লেন্থের ধারাবাহিক বোলিংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ৪০ রান করে থামেন শান্ত। তবে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। এর মাঝে অবশ্য মুশফিকুর রহিম ফিরে যান ওয়েলিংটন মাসাকাদজার নিরীহদর্শন বলে।

দলীয় ১২৩ রান থেকে পরের ১৪ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকের পর ব্যক্তিগত ৫৬ রানে মুমিনুল আর ১ রানে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১৪৬ রানে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা তাইজুল ফিরে গেলে বড় স্কোরের সম্ভাবনাও মিলিয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।

স্কোরবোর্ড ভদ্রস্থ করার কাজটা এরপর করেছেন হাসান মাহমুদ এবং জাকের আলী অনিক। ৮ম উইকেটে দুজনের জুটি ৪১ রানের। হাসান মাহমুদ এগুচ্ছিলেন ভালোই। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানির কাছে হার মানতে হয় তাকে। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৯ রান করে। দলের স্কোর ১৮৭।

বাংলাদেশ ইনিংসের শেষটা করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। দলীয় ১৯১ রানে জাকের আলী অনিক এবং নাহিদ রানা ফেরেন চার বলের ব্যবধানে। মুজারাবানি ও মাসাকাদজা পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি করে উইকেটে নিয়াগুচি এবং মাধেভেরের।

১৯১ রানে বিব্রতকর পরিসংখ্যান

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর

সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪র্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ


 আরএম/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
যারা দেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তারা কখনোই জনগণের বন্ধু হতে পারে না : মির্জা ফখরুল Apr 20, 2025
img
সংস্কার কাজে দেরি না করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Apr 20, 2025
img
চট্টগ্রামে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ সিএনজির দুই যাত্রী Apr 20, 2025
img
সুপারহিট তামান্নার‘ওডেলা ২’সিনেমা সুপারফ্লপ Apr 20, 2025
img
অনাথ শিশুকে উদ্ধার, নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন দিশা পাটানির বোন Apr 20, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন Apr 20, 2025
img
শুনানির জন্য প্রস্তুত এ টি এম আজহারের আপিল, সোমবার উপস্থাপন Apr 20, 2025
img
পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা রেখে আইন প্রণয়নের সুপারিশ Apr 20, 2025
img
আইএমএফ’র টাকা নিয়ে যা বললেন গভর্নর Apr 20, 2025
img
বিজয়ের স্বপ্ন পূরণ: ৫০ সেঞ্চুরির মাইলফলকে গড়লেন ইতিহাস Apr 20, 2025