যতদিন উইকেট পরিবর্তন হবে না, ততদিন মান বাড়বে না : মুমিনুল

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের ধারহীন ব্যাটিংয়ের আরেকটি করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটে রান নেই। ওপেনার সাদমান ইসলাম দুই ইনিংসেই ম্লান এবং মাহমুদুল হাসান জয় দ্বিতীয় ইনিংসে থিতু হয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হককে।

দিন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলের কাছে মানহীন পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। ঘরোয়া লিগে উন্নতি ও বিদেশি আনলে মান বাড়ত কি না এমন প্রশ্নে তার উত্তর– ‘আমার কাছে মনে হয় তো যতদিন উইকেট পরিবর্তন হবে না, ততদিন মান বাড়বে না। এখানে যে উইকেটে খেলা হয়েছে এরকম উইকেট থাকলে পেসাররা উৎসাহী হবে, উইকেটটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।’

একসময় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে আসতেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। তেমন কিছু করা হলে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিভাগে সেরকম সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া উচিৎ। আর বিদেশি খেলোয়াড়দের সুযোগ দিলে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। কিন্তু সেখানে আরেকজন বোলার সুযোগ পাবেন না, ওই জায়গাটা সংক্ষিপ্ত হয়ে আসবে। এখানে তো একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তখন (দেখা যাবে) এক জায়গায় লাভ হচ্ছে, আরেক জায়গায় লস হচ্ছে।’

আগের চেয়ে এখনকার টেস্ট দল ভালো বলেও দাবি করলেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক, ‘(আগের চেয়ে) অনেক পার্থক্য। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম তখন থেকে এখনকার টেস্ট দল অনেক ভালো। তখন বোলার ছিল না খুব ভালো, আমার তখন কষ্ট হয়েছিল অনেক ভালো একটা জায়গায় নিয়ে আসতে। এখনকার টেস্ট দল অনেক সাজানো গোছানো। হয়তো ব্যাটিংটা আমরা ধারাবাহিকভাবে করতে পারছি না, কিন্তু ফিল্ডিং আর বোলিংয়ের দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছি আমরা।’

ঘরের মাঠে গত বছরও কোনো টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের শুরুটা হয়েছে হতাশাজনক। ফলে টাইগার ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মুমিনুলের ভাষ্য, ‘আমি অন্যদেরটা বলতে পারব না। আমি আমারটাই বলতে পারব। আমার কাছে মনে হয় আমি যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সেট ব্যাটার হিসেবে আমার কাছে আরও লম্বা সময় দুই-তিন সেশন ব্যাটিং করা উচিৎ ছিল। তাহলে দলের জন্য ভালো হতো।’

 আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ