ছাত্রদলের সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, রাজনীতিতে তোলপাড়

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের উপস্থিতিতে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা। এতে ছাত্ররাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।

রোববার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন মো. শাহাদাত হোসেন নামের ওই নেতা, যিনি রাবি ছাত্রলীগের সৈয়দ আমীর আলী হল শাখার সাবেক সহ-সভাপতি। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ তাকে এ পদে দায়িত্ব দেয় তৎকালীন কিবরিয়া-রুনু কমিটি।

শাহাদাতের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নলখোলা গ্রামে। তাঁর বাবা শহিদুল ইসলামও একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিবরিয়া-রুনু কমিটি বিলুপ্তির পর শাহাদাত আওয়ামী লীগ নেতা জেবর আলীর ঘনিষ্ঠ হন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল মিঠুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে তাঁর নাম উঠে এসেছে।

সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভোটের মাধ্যমে রাকিবুল ইসলাম রাকিব সভাপতি ও ইমরুল কায়েস কাব্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহি এবং অন্যান্য ইউনিটের নেতারা।

শাহাদাতের উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। একপক্ষ বলছে, তিনি ছাত্রদলের কেউ নন, আবার অন্যপক্ষ বলছে, তিনি ছাত্রদলের পরিচয়ে এসেছেন।

রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহি বলেন, “মিঠুর পরিচিত হিসেবে শাহাদাত সেখানে এসেছিলেন। আমি পরে জানতে পারি সে একসময় ছাত্রদলের পদে ছিল। বর্তমানে সে ছাত্রদলের কেউ না।”
যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু বলেন, “সে আমার ঘনিষ্ঠ কেউ না। নিজেকে ছাত্রদল নেতা বলে পরিচয় দেয়। সম্মেলনে গিয়ে হয়তো সুযোগ নিয়ে ছবি তুলেছে।”

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজশাহীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন নিজেকে ছাত্রদলের পোস্টেড নেতা দাবি করে বলেন, “২০১৩ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে আমার নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ব্যবসা রক্ষায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ছাত্রলীগের কেউ না। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদককে দেখে আবেগে ছবি তুলেছি।”

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না : ফারুকী Jul 01, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দেশের মানুষের আত্মপরিচয় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাইলফলক : সুপ্রদীপ চাকমা Jul 01, 2025
img
৪০-এ পা দিয়েও দুর্দান্ত ফর্মে ডু প্লেসি, গড়লেন বিশ্বরেকর্ড Jul 01, 2025
img
একক কনসার্টে গাইবেন বাপ্পা মজুমদার Jul 01, 2025
img
ফোনকল ফাঁসের ঘটনায় বহিষ্কার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Jul 01, 2025
img
আমার বিশ্বাস রিয়ামনি আর এমন ভুল করবে না: হিরো আলম Jul 01, 2025
‘১৪০০ শহীদ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় মাস্টারমাইন্ড’ Jul 01, 2025
img
৫ লাখ ‘ওয়ার্ক পারমিট ভিসা’ দেওয়ার ঘোষণা ইতালির Jul 01, 2025
img
খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি জানালেন পিনাকী! Jul 01, 2025
img
মায়ামি ছাড়ছেন মেসি, গন্তব্য ইউরোপ! Jul 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বুধবার: নৌ উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, স্ক্যানিংয়ে কড়াকড়ি Jul 01, 2025
আসছে জুলাই ঘোষণা: স্থগিত হতে পারে সংবিধান, সরকারে রথবদলের ইঙ্গিত Jul 01, 2025
img
চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ আরও ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত Jul 01, 2025
img
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কিরকুক বিমানবন্দরে রকেট হামলা Jul 01, 2025
img
অভিনয় থেকে দুই মাস দূরে থাকবেন জোভান Jul 01, 2025
img
নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
শিগগিরই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে যাচ্ছে ইরান: আব্বাস আরাঘচি Jul 01, 2025
‘আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা’: ইলন মাস্ক Jul 01, 2025
img
উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ফ্রান্স Jul 01, 2025