বিশ্বে স্যানিটাইজেশনে অন্যতম পিছিয়ে পড়া দেশ ভারত, কমবেশী সকলেরই জানা। সেজন্য শৌচাগার নির্মাণ এবং খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলিউডে নির্মাণ করা হয় সিনেমা ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’। ছবিটি মুক্তির আগে এই ছবির নায়ক অক্ষয় কুমার এক সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, সমাজে নিষিদ্ধ এমন বিষয়ের ওপর মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আসবে এই সিনেমা থেকে।
নিজের এমনই অভিজ্ঞতার কথা খুলে বলেন অক্ষয় কুমার। কথা বলেন তার সিনেমাগুলি দর্শকদের মনে যে প্রভাব ফেলেছে, দর্শকদের সমালোচনার প্রতি তার মনোভাব। জানান, এসব একজন অভিনেতা হিসেবে তার সবথেকে বড় পাওয়া।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’। বলা হচ্ছে, এটিও তেমনই সমাজমুখী ছবি। অক্ষয় জানান, এমন সমাজমুখী সিনেমায় কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত।
সেই ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ছবির উদাহরণ টেনে এই ভারতীয় অভিনেতা বলেন, ‘টয়লেট এক প্রেম কথা মুক্তির পর বহু মানুষ বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণের গুরুত্ব বুঝেছেন। আবার ‘প্যাডম্যান’ ছবির মাধ্যমে নারীদের পিরিয়ড সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। মেয়েরা বাবা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছে। ‘ও এম জি ২’-এর মাধ্যমেও যৌন শিক্ষার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছে। যখন দর্শকরা এই ছবিগুলির গল্পকে ভালোবাসেন, তখন একজন অভিনেতা হিসেবে আমিও খুশি হই।’
গত ১৮ এপ্রিল মুক্তি পায় অক্ষয়ের ‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’। এই ছবিতে অক্ষয়ের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আর মাধবন ও অনন্যা পাণ্ডে। দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছে ছবিটি, ইতোমধ্যেই বক্স অফিসে ৫০.২৫ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে। তার এই সাফল্যের ধারায় অতীতের কথাই সেই সাক্ষাৎকারে তুললেন অক্ষয়।
আরএম/এসএন