তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৪ মে

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি আগামী ৪ মে নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির। বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামালসহ একাধিক আইনজীবীও ছিলেন।

এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রায়ে মন্তব্য করেন, এই মামলার বিচার অবৈধ ছিল এবং সংশ্লিষ্ট চার্জশিট আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের অনেকেই এখনো গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে কষ্টকর জীবন যাপন করছেন।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়। মামলার প্রায় ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার নথির মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ ফরিদসহ জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতা। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ কয়েকজন পলাতক আসামি।

রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার শুনানি এখন নির্ধারিত হলো আগামী ৪ মে।


এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চলতি বছরের মধ্যে ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ Aug 23, 2025
img
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশে ফেরত আসার চক্রান্ত হচ্ছে : নার্গিস বেগম Aug 23, 2025
img
ভারতের অনুরোধে সরিয়ে ফেলা হলো, বিজিবির পা ধরে বসা বিএসএফ সদস্যের ভিডিও Aug 23, 2025
img
৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ৭ নদীবন্দরে সতর্কতা জারি Aug 23, 2025
img
শাহরুখের যে অভ্যাস বোমানকে বিরক্ত করে Aug 23, 2025
img
পিআরের জন্য আন্দোলন করলে নমিনেশন দিলেন কেন : আযম খান Aug 23, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত Aug 23, 2025
img
মুজিব হলের ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রার্থী জিদান Aug 23, 2025
img
গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, স্বীকার করল জাতিসংঘ Aug 23, 2025
img
আমরা কেউ নেতা নই, আমাদের নেতা তারেক রহমান : আনোয়ারুল মোমেন Aug 23, 2025
img
এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সোহান Aug 23, 2025
img
আমি নির্বাচক হলে এখন আর দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাম না: মিনহাজুল আবেদীন নান্নু Aug 23, 2025
img
দেশের মাটিতে হাসিনার বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে: মির্জা ফখরুল Aug 23, 2025
img
প্রকৃতি ধ্বংস করে কোনো জাতি টিকতে পারেনি: মঈন খান Aug 23, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ Aug 23, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৮ কেন্দ্রে Aug 23, 2025
img
এটুকুই বলব, এমন পরিণতি যেন কারো না হয় : বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই Aug 23, 2025
img
ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ডাকসুতে ভোট দেয়ার দাবি আব্দুল কাদেরের Aug 23, 2025
img
কখনো আপস করেননি খালেদা জিয়া: ডা. শাহাদাত Aug 23, 2025
img
দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে: ট্রাম্প Aug 23, 2025