কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জের ধরে উত্তপ্ত ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কে নতুন করে কালো মেঘ ভর করেছে এ হামলার ঘটনায়। মর্মান্তিক এ হামলায় নিহত হয়েছে ২৬ জন নাগরিক। যার ফলে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ।
কাশ্মীর হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের শোবিজ অঙ্গনে নতুন করে বিভেদের দেয়াল উঠতে শুরু করেছে। ভারতে সব ধরনের পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষেধের দাবি তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে ফের পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই)।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অশোক দুবে দাবি করেছেন, এবার পাক শিল্পীদের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
সংবাদমাধ্যমকে অশোক বলেছেন, ‘দেশের সমস্যা এটা। সবার ওপরে দেশ। একের পর এক হামলা চলছে দেশের ওপরে। সম্প্রতি আমাদের দেশের পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হল পেহেলগামে।২৬ জনের মৃত্যু হলো। সেই হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চাপানউতর বেড়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছেও চিঠি লিখে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অশোক। সেই চিঠিতে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি করা হয়েছে। অশোক আরো বলেছেন, ‘আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সব দপ্তরকেই আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি।
অশোক হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, ভারতের কেউ ফের কোনো পাক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে, তাকেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করা হবে। এমনকি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলাও করা হবে। অশোক বলেন, ‘আমাদের দেশের কেউ পাকিস্তানি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হবে, যাতে আর কেউ এই কাজ করার আগে হাজারবার ভাবেন।’
পাক অভিনেতা ফাওয়াদ খানের ‘আবির গুলাল’ নিয়েও কথা বলেন অশোক। এই সিনেমা যাতে মুক্তি না পায়, তার জন্য প্রযোজক বিবেক আগারওয়ালকেও চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ৯ মে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর ভারতে মুক্তির অপেক্ষায় কোনো পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা। তবে সেটিও এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
এমআর/টিএ