জীবনযাপনের পরিবর্তনে আজকাল চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে সবাই চিন্তিত। জীবনযাপনের পরিবর্তন ছাড়াও নিজের অবহেলার কারণেও চুল ঝরতে পারে। চুলের সঠিক যত্ন না নিলে এবং স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বেশি কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহার করার কারণেও চুল ঝরে।
অনেকে সময় হেয়ার ফল রোধ করার জন্য ঘরোয়া উপায়, হার্বাল শ্যাম্পু, হেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহার করেও উপকার পাচ্ছেন না। তবে আপনি চাইলে কিছুদিনের জন্য কিশমিশের পানি চুলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কিশমিশের পানি চুলকে পুষ্টি দেয়। এতে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যেমন পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
এসব উপাদান চুলকে পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদান করে। আয়রন স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়। প্রোটিনও চুলকে মজবুত করে।
হেয়ার ফলিকলসকে স্ট্রং করে কিশমিশের পানি।
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস থাকে, যা হেয়ার গ্রোথ বাড়ায়। এতে হেয়ার ফল কম হতে পারে। নিয়মিত এই পানি দিয়ে হেয়ার ওয়াশ করলে হেয়ার ফলিকলস স্ট্রং হয়।
কিশমিশের পানি দিয়ে চুল ধুলে কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ে। এতে চুল মজবুত হয়।
নিয়মিত চুল কিশমিশের পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে ড্যান্ড্রফের সমস্যা দূর হয়। স্ক্যাল্প স্বাস্থ্যকর থাকে। ইচিং, জ্বালা সব কম হয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
রাতে একটি বাটিতে ১০-১৫ কিশমিশ ধুয়ে রাখুন। এতে পানি দিন এবং সারা রাত ঢেকে রাখুন। সকালে এর পানি ছেঁকে নিন এবং এতে সমান পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিন। এবার কটনের সাহায্যে স্ক্যাল্পে লাগান।
হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এটি এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিন এবং তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আপনি চাইলে শুধু পানি দিয়েও চুল পরিষ্কার করতে পারেন। দ্রুত ফলাফল পেতে এটি নিয়মিত এক মাস ব্যবহার করে দেখুন। এতে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে, চুল নরম হবে।
এফপি/টিএ