গ্রামের তিনদিকেই পাকিস্তানের সীমানা: আতঙ্কে ভারতীয়রা

পাঞ্জাবের দাওকে গ্রামে, যেখানে প্রায় ১,৫০০ মানুষ বসবাস করেন, সীমান্তের পাশ দিয়েই চলে গেছে কাঁটাতারে ঘেরা সীমারেখা। সেনারা টহল দেয় নিয়মিত। গ্রামে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না এলেও যুদ্ধের সম্ভাবনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা যেন এক পুরোনো আতঙ্ককে আবারও জাগিয়ে তুলেছে।

সেই ভয়াল দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা হারদেব বলেন, “১৯৭১ আর ১৯৯৯ সালের যুদ্ধের সময় আমরা নারীরা, শিশুরা, গবাদিপশু এবং বেশিরভাগ তরুণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলাম। নিজেদের জমিতে কাজ করতেও পারিনি। বাড়িঘর পাহারা দিতে কেবল গ্রামের বৃদ্ধরাই থাকতেন, যাতে লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।”

হারদেব বলেন,“কাশ্মিরে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে দুই দেশই বহু বছর পিছিয়ে যাবে। মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ হবে।”

৩৮ বছর বয়সী গুরুবিন্দর সিং স্মরণ করেন ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ। যদিও সংঘর্ষ হয়েছিল দূরবর্তী হিমালয়ের দুর্গম এলাকায়, তবে পাঞ্জাবের সোনালি মাঠও অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল।

গুরুবিন্দর বলেন, “আমাদের জমিতে মাইন পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। ফলে আমরা মাঠে কাজ করতে পারিনি। তিনি আরও যোগ করেন,“আশা করি নেতাদের যুদ্ধকামিতার মন্তব্যগুলো বাস্তবে রূপ নেবে না। আমাদের গ্রাম যেন শান্তিতে থাকে। এখনও পর্যন্ত এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

কাছাকাছি রাজতাল গ্রামে বসবাস করেন প্রবীণ কৃষক সরদার লাখা সিং। তার স্মৃতিতে এখনও ভেসে ওঠে সেই দিনগুলো, যখন কাঁটাতারের বেড়া ছিল না এবং কৃষকরা অবাধে ওপারের জমিতে গবাদিপশু চরাতে পারতেন। সেই মুক্ত সময়ের তুলনায় এখনকার পরিস্থিতি অনেক বেশি থমথমে ও নিয়ন্ত্রিত।

এফপি/টিএ

Share this news on: