ডিপিএলের সুপার সিক্স রাউন্ডে মাঠের পারফরম্যান্স নয়, বরং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। গেল ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে প্রথমে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পরে সেই শাস্তি এক ম্যাচে কমিয়ে আনলে তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।
দেশসেরা আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত সেই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিসিবি সভাপতি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, হৃদয়ের শাস্তি বহাল থাকবে তবে তা কার্যকর হবে ডিপিএলের পরবর্তী আসরে।
কিন্তু ওই ঘটনার রেশ কাটার আগেই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আরেক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হৃদয়। ফলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন তিনি। এবার ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ডিপিএলের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি হৃদয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার দল মোহামেডান ৬ উইকেটে হারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে।
হারের পর নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন বার্তা দেন হৃদয়। তিনি লেখেন, “এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও একপ্রকার অলিখিত যুদ্ধ করেছে মোহামেডান। মানসিক চাপের দিক দিয়ে কোনো দল আমাদের মতো যুদ্ধ করেনি।” তিনি ইঙ্গিত দেন, অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারছেন না, তবে সঠিক সময় এলে হয়তো বলবেন।
তিনি আরও লিখেছেন, “পরিবারের একজন সদস্য যেন অপমানিত না হয়, সেজন্য নিজের কাঁধে অনেক কিছু নিতে হয়। মোহামেডান কর্তৃপক্ষ যেভাবে আমাকে প্রতিটি ম্যাচে পাশে রাখার চেষ্টা করেছে, সে জন্য কৃতজ্ঞ। সতীর্থ, কোচ এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি রইল ভালোবাসা।”
এসএস/টিএ