ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দুই দলের কাছেই এখনো অধরা। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ব্যয় করে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে তারার হাট বসিয়েও স্বপ্নপূরণ হয়নি পিএসজির। ঘরোয়া আসরে নিয়মিত ট্রফি উৎসব করলেও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় একরাশ হতাশা যেন তাদের নিয়তি! লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো মেগাতারকারাও পারেননি প্যারিসের ক্লাবটির এই অতৃপ্তি ঘোচাতে।
আর্সেনালের গল্পও প্রায় অভিন্ন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা অনেক দূরের বাতিঘর হয়ে আছে গানার সমর্থকদের কাছেও। ২০০৬ সালে ফাইনাল খেলাটাই ইউরোপের অভিজাত এই ক্লাব আসরে আর্সেনালের সেরা সাফল্য। দুই দশক আগের ওই সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনার ব্রত নিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হচ্ছে আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আজ রাতে মঞ্চস্থ হবে সেই দ্বৈরথের প্রথম পর্ব।
আসরের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে শেষ চারের টিকিট কেটেছে আর্সেনাল। কোয়ার্টার ফাইনালে দুই লেগেই গানারদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে লস ব্লাংকোরা। এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বে পনেরোবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল আর্সেনাল। এরপর ফিরতি পর্বে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকেও ২-১ গোলের অসাধারণ জয় নিয়ে ফিরে গানাররা।
রিয়ালের বিপক্ষে দুর্দান্ত ওই জয়ের সুখস্মৃতি সঙ্গী করে পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামছে মিকেল আর্তেতার দল। নিজেদের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্যারিসের ক্লাবটির বিপক্ষেও দারুণ সুখস্মৃতি আছে লন্ডনের ক্লাবটির।
চলতি আসরের গ্রুপ পর্বে এমিরেটস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ওই দ্বৈরথে পিএসজিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল আর্সেনাল। ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের আরেকবার হারের তেতো স্বাদ দিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
এই স্বপ্ন পূরণে নিজ সমর্থকদের আরেকবার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গানার ফরোয়ার্ড লিয়ানড্রো ট্রোসার্ডের, ‘সমর্থকদের কাছে আগের মতোই চাওয়া আমাদের। মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সমর্থন ছিল অবিশ্বাস্য। আবারও যদি তেমনটা করতে পারি আমরা, তা হবে অসাধারণ।’
প্রেরণা পাওয়ার মতো অনেক রসদ আছে পিএসজিরও। চলতি আসরেই দুটি ইংলিশ ক্লাবের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছে লুই এনরিকের দল। গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দল লিভারপুলের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে জেতার পর কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। আর্সেনালের কাছে গত অক্টোবরে হারের মধুর বদলা নিয়ে ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে নক আউট জেতার হ্যাটট্রিক পূরণ করতে চায় পিএসজি। এ স্বপ্নপূরণ হলে পাঁচ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
আরএম/টিএ