পরকীয়ার জেরে পুলিশ হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার-২

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জ এলাকার একটি বাসার নিচতলায় পরকীয়ার জেরে শ্বাস রোধ করে হুমায়ুন কবির (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— নিহত পুলিশ সদস্য খোকনের স্ত্রী সালমা বেগম ও ভাই আল মামুনের স্ত্রীর বোন মরিয়ম আক্তার।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।

তিনি জানান, গত সোমবার সকালে আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়ির ভেতর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যানবাহন শাখার পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করি। প্রথমে দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা মনে হলেও পরে আমরা জানতে পারি, পরকীয়ার জেরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যের ভাই খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে জানা যায় নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী সালমা বেগম ও ওই ভবনের চারতলায় থাকা তার আত্মীয় মরিয়ম এবং তার আরেক আত্মীয় রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই ঘটনায় জড়িত নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম ও তার আত্মীয় মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদের দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাজীব নামে এক আত্মীয়র সঙ্গে নিহত পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী সালমার পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে রাজিব পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

নিহতের ভাই খোকন হাওলাদার বলেন, আমার ভাইকে গত সোমবার পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এখন পর্যন্ত এই ঘটনার অন্যতম আসামি রাজিব পলাতক রয়েছে। রাজিব আমার ছোট ভাইয়ের সম্বন্ধী, সম্পর্কে আমাদের বিয়াই। আমার ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সালমা বেগম ও মরিয়ম এবং রাজিব মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আমার ভাইয়ের দুটি সন্তান রয়েছে, তাদের এখন কি হবে। যারা আমার ভাইকে এভাবে হত্যা করেছে, আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার রামনগরে এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত মিরাজ হাওলাদারের ছেলে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসাইন উল্লেখ করেন, সোমবার সকালের দিকে খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানার দয়াগঞ্জ বটতলা সংলগ্ন জজ মিয়ার বাড়ির প্রবেশ পথের ভেতরের অংশে ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তিনি মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠান। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায়, নিহতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

আরআর/এসএন

Share this news on: