এবার অবসর নিয়ে মুখ খুললেন এমএস ধোনি

চলমান আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের। গতকাল ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। চেন্নাইয়ের ভাগ্য জানা হয়ে গেলেও ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে অধিনায়কের ভাগ্য নিয়ে।

চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই একটা প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছিল ক্রিকেট মহলে। এটাই কি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শেষ আইপিএল ম্যাচ হতে চলেছে? যে জল্পনা উস্কে দেন স্বয়ং ধোনিই।

এদিন চেন্নাইয়ে টস করতে নামা ধোনিকে ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন প্রশ্ন করেন, তিনি কি পরের বছর আইপিএলে খেলবেন? না তার আগেই অবসর নেবেন? সেই প্রশ্ন শুনে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরাও চিৎকার করে ওঠেন। বোঝাই যাচ্ছিল, তাদের মনেও এই প্রশ্ন রয়েছে। উত্তরে ধোনি যা বলেন, তাতে নতুন করে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। হাসতে হাসতে ধোনি জবাব দেন, ‘আমি পরের ম্যাচে নামব কি না, সেটাই তো জানি না।’

এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেই কি শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন চেন্নাই অধিনায়ক? চেন্নাই সুপার কিংসের মতো ধোনিও ছন্দে ছিলেন না চলমান আসরে। মাত্র একদিন আগেই সেই ধোনির সমালোচনা করেন সাবেক অজি তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

তিনি বলেন, ‘একটা বড় নাম এমএস ধোনি। ওর তো আর নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। সব কিছুই অর্জন করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে কী করা উচিত, তা ধোনিই সবচেয়ে ভালো জানবে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ওকে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। এটা বলা কষ্টের। তবুও বলব, ধোনিকে আর দেখা না গেলেই ভালো। ওকে আমি ভালোবাসি। ধোনি আইকন ক্রিকেটার। তবে এবার হয়তো সময় এসেছে বিদায় বলার।”

প্রসঙ্গত, ঘরের মাঠ চিপকের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গতকাল (বুধবার) পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ১৯১ রান তোলে। যদিও যুজভেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে তারা ৪ বল হাতে রেখেই গুটিয়ে যায়। চেন্নাইয়ের পক্ষে স্যাম কারান সর্বোচ্চ ৮৮ (৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায়) রান করেন। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি চেন্নাইয়ের আর কেউই। পাঞ্জাবের চাহাল সর্বোচ্চ ৪টি এবং মার্কো জানসেন ও আর্শদীপ সিং দুটি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব ২ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। প্রতি ম্যাচের মতো এদিনও তাদের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং শুরুটা করেছিলেন ঝোড়ো গতিতে। যদিও প্রিয়াংশ আউট হয়ে যান ২৩ রান করে। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি (৩৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান) তুলে নেন প্রভসিমরান। পাঞ্জাবের অধিনায়ক আইয়ার ৪১ বলে ৫ চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ রান করে আউট হলেও, ২৩ রানের ক্যামিওতে দলের জয় নিশ্চিত করেন শশাঙ্ক সিং। এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে গেল পাঞ্জাব।

আরএম/টিএ

Share this news on: