শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র-জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গিয়েছে: রিজভী

শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র-জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, যারা ভোট দিয়ে আমাদের সরকার নির্বাচিত করে, যারা ভোট দিয়ে সরকার গঠন করে তারা বঞ্চিত, তারা নির্যাতিত, তারা অসহায়। কথায় কথায় তাদের ছাঁটাই করা হয়, তাদের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে, তাদের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে শ্রমিকরা তাদের সমাবেশ করার, সংগঠিত হওয়ার অধিকার পায়নি। তাদেরকে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়নি শেখ হাসিনা।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরির জন্য আন্দোলনে শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী, শেখ হাসিনার র‌্যাব, শেখ হাসিনার পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তারা গুলি চালিয়ে মহিলা শ্রমিক আঞ্জুমান আরা খাতুনকে হত্যা করেছে। শ্রমিক জালাল উদ্দিনকে হত্যা করলো, শ্রমিক রাসেলকে হত্যা করলো। শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে। সেই রক্তে রচিত হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সেই মহাবিপ্লব। যে আন্দোলনের শতাধিক শ্রমিক শহীদ হয়েছে।

রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সিন্ডিকেট ছিল, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে হলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক টাকা গুনতে হতো। এর মধ্যে ছিল মাসুদ, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল আরও অনেক লোক। এই সিন্ডিকেটের কারণে শ্রমিকদের কষ্ট হতো। শ্রমিকরা ঘর-জমি বিক্রি করে ওই সিন্ডিকেটকে টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েও চাকরি পেত না। আজ তো সিন্ডিকেট থাকার কথা নয়, আজ কেন শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করবে। কেন আজ তারা অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাবে? আজ তো ফ্যাসিবাদ নেই, আজ তো সেই জুলুম নেই, তাহলে কেন আজ শ্রমিক ছাঁটাই হবে?

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দোসরদের পাপের বিচার হোক, কিন্তু তাদের মিল-কলকারখানা বন্ধ না করে প্রশাসক নিয়োগ করে সেগুলো সচল রাখুন। কোনো শ্রমিকের চাকরি যেন না যায়, কোনো শ্রমিক তার কর্মসংস্থান না হারায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘ক্যাপ্টেন চিং’ রূপে ফিরলেন রণবীর, সঙ্গে ববি দেওল, শ্রীলীলা, রাজপাল Jul 05, 2025
img
নতুন মুখ, নতুন গল্পে সাজছে বলিউড! Jul 05, 2025
img
জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত Jul 05, 2025
img
মন্দিরার চোখে শরিফুল রাজ ও আরিফিন শুভ, কে এগিয়ে? Jul 05, 2025
img
অনেক রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সরকারও নির্বাচন পেছাতে চায় : মাসুদ কামাল Jul 05, 2025
শাহাদাতের সুযোগ এলে পিছপা হবেন না আসিফ মাহমুদ Jul 05, 2025
img
গল্পের টানে এবার ভিন্ন পথে প্রভাস! Jul 05, 2025
img
অবৈধ সরকারের প্রলোভনে সাকিবের এমপি হওয়ার বিষয়টি ভুলে গেলে বেঈমানি করা হবে: আমিনুল হক Jul 05, 2025
আশুরা উপলক্ষে যেসব কাজ নিষিদ্ধ করলো সিএমপি Jul 05, 2025
img
২ সপ্তাহে ২১৩০ কোটির ঘরে 'সিতারে জমিন পার', তবুও সফলতা নিয়ে প্রশ্ন! Jul 05, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 05, 2025
img
‘তিন শূন্য’ অর্জনে মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের Jul 05, 2025
img
এত তাড়াতাড়ি শান্তর থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়াও উচিত হয়নি: আকরাম খান Jul 05, 2025
img
আইসিসির দ্বিমুখী আচরণের সমালোচনা করলেন লঙ্কান ধারাভাষ্যকার রোশান আবেসিংহে Jul 05, 2025
আন্দোলন এখন গলার কাঁটা, ‘গণক্ষমার চিন্তায় এনবিআর কর্মকর্তারা Jul 05, 2025
আঞ্চলিক বৈষম্য চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই- নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
আরও ২ বছর বাড়ল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের মেয়াদ Jul 05, 2025
img
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল Jul 05, 2025
img
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে যারা সহযোগিতা করছে, তারাও অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল Jul 05, 2025
img
গত দেড় বছরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা Jul 05, 2025