আরও একবার তিনি করে দেখালেন। আরও একবার বোঝালেন কেন তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন, বরং একটা ব্র্যান্ড — যার উপর দর্শক চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখে। মোহনলাল নামটা যেন এখন আর কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না, তিনি প্রতিযোগিতার সংজ্ঞা নিজেই বদলে দেন।
২৫০ কোটির এল টু: এমপুরান-এর পর এবার ‘থুদারুম’। প্রতিশোধের গল্প, কিন্তু তার ভেতরে আছে আবেগ, পরিবার আর গভীর মানবিক টানাপোড়েন। ঠিক যেটা দর্শক চায় — থ্রিলারের রোমাঞ্চ, কিন্তু হৃদয়ের ছোঁয়া নিয়েও।
রিলিজের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ছবি ঢুকে পড়েছে ১০০ কোটির ক্লাবে। এমন এক সাফল্য যা আজকের দিনে একজন সিনিয়র অভিনেতাকেন্দ্রিক ছবির পক্ষে সত্যিই বিরল। তবে মোহনলালের ক্ষেত্রে কিছুই আর অবিশ্বাস্য নয়।
সমালোচকরা বলছেন, এটা যেন ড্রিশ্যামের আত্মীয়। দুর্দান্ত স্ক্রিনপ্লে, একের পর এক টুইস্ট আর চরিত্রের ভেতরের দ্বন্দ্বগুলো এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেটা এখনকার বহু ছবিতে দেখা যায় না। ক্যামেরার কাজ থেকে সাউন্ড ডিজাইন, সবকিছুতেই রয়েছে এক প্রিমিয়াম স্পর্শ।
মোহনলাল নিজে এই ছবিতে যেন আগুন ছড়িয়েছেন। তাঁর চোখ, সংলাপ, অ্যাকশন — প্রতিটা মুহূর্তে বোঝা যায়, তিনি শুধু অভিনয় করছেন না, তিনি জিতছেন। ৬৫ বছর বয়সেও তিনি যেভাবে স্ক্রিনে নাচছেন, মারছেন আর চরিত্রের আবেগে ডুব দিচ্ছেন — তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা।
এটা কোনও নস্টালজিক ফ্যানডম নয়। এটা বর্তমানের দৃঢ় প্রাসঙ্গিকতা। দর্শক আবারও প্রমাণ করেছে, সঠিক গল্প আর সঠিক পারফরম্যান্স থাকলে মোহনলালের ছবি মানেই হলমুখো হাওয়া।
এল টু দিয়েছিলেন মহাবিস্ফোরণ, এবার থুদারুম দিয়ে দেখালেন থ্রিলারেও তিনি মাস্টার। মাল্টি ঘরানা তারকা বলতে যা বোঝায়, তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি হলেন মোহনলাল।
তিনি শুধু স্টার নন, স্ক্রিপ্ট সেন্সেরও এক জীবন্ত উদাহরণ। তিনি শুধু সিনেমার অংশ নন, বরং নিজের হাতেই ভারতের সিনেমা ইতিহাসের পরবর্তী অধ্যায় লিখে চলেছেন।
আরও একটি ছবি, আরও একটি অধ্যায়, আর মোহনলালের রাজত্ব এখনও থেমে নেই — বরং নতুন করে শুরু হচ্ছে।
এফপি/এস এন