মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চিকিৎসক-নার্সের সাক্ষ্যগহণ

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে চিকিৎসক নার্সসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

রোববার (৪ মে) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) একজন চিকিৎসক, মাগুরা সদর হাসপাতালের দুইজন নার্স ও প্রধান আসামি হিটু শেখের এক প্রতিবেশির সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

এ নিয়ে মামলার পঞ্চম দিনে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিরা এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন। পর্যায়ক্রমে মামলার বাদীসহ ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানা যায়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চ্যলকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। পঞ্চম দিনে মামলার চারজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন দুই স্টাফ নার্স, একজন মেডিকেল অফিসার এবং হিটু শেখের প্রতিবেশি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া একজন গৃহিনী। সোমবার আরো ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত।

তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মামলার সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ পর্যন্ত ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি মে মাসের মাঝামাঝিতে এই চাঞ্চ্যলকর মামলার রায় হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী আছিয়া। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

আরআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন নিয়ে আপিলে শুনানি চলছে Dec 09, 2025
img
পাথর ছোঁড়ার মধ্যেও নিজস্ব মাইলস্টোন গড়ার পরামর্শ শচীন টেন্ডুলকারের Dec 09, 2025
img
দুর্নীতিবাজদের নির্বাচিত করবেন না : দুদক চেয়ারম্যান Dec 09, 2025
ঈদে কার সিনেমা দর্শকপ্রিয়তা ও রেটিংয়ে শীর্ষে? Dec 09, 2025
শাহরুখপুত্রের বিনয়ী আচরণ দেখলেন তৃণা Dec 09, 2025
img
আপাতত ঢাকায় রেখেই চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা Dec 09, 2025
img
ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে জয় পেল ইউনাইটেড Dec 09, 2025
img
বিপিএলে তুষার ইমরানকে মেন্টর হিসেবে নিযুক্ত করল চট্টগ্রাম রয়্যালস Dec 09, 2025
img
ভারতের পণ্যে নতুন শুল্ক আরপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প Dec 09, 2025
img
তফসিলের কাউন্টডাউন শুরু হতেই ফুটে উঠছে পুরনো রাজনৈতিক পুনরাবৃত্তি: জিল্লুর রহমান Dec 09, 2025
img
এমপি প্রার্থীকে ‘আল্লাহর পাঠানো ফেরেশতা’ আখ্যা দিলেন বিএনপি নেতা Dec 09, 2025
img
শেফিল্ড শিল্ড থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মিচেল মার্শ Dec 09, 2025
img
গ্রামে গ্রামে বল প্রয়োগকারী বাহিনী তৈরি করেছিল হাসিনা: জি কে গউছ Dec 09, 2025
img

গুমের মামলায়

হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে শুনানি আজ Dec 09, 2025
img
ক্যানসার প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে : মেয়র শাহাদাত Dec 09, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম Dec 09, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন জেলেনস্কি Dec 09, 2025
img
লয়্যালিটির বিনিময়ে আমি আরও বেশি দিই: স্বস্তিকা দত্ত Dec 09, 2025
img
রাজধানীতে শীতের আমেজ, কমছে তাপমাত্রা Dec 09, 2025
img
এবার স্কোয়াডে জায়গা হলো না মোহাম্মদ সালাহর Dec 09, 2025