কাশ্মীরের পহেলগামের হামলাকে ঘিরে পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বুধবার নিরাপত্তা মহড়া চালাতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার (৫ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। গেলো কয়েক দিনে পাকিস্তান আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ভারত এই ব্যবস্থা নিল।
থেমে নেই সীমান্তে উত্তেজনাও। কাশ্মীর সীমান্তে রোববার ১১তম রাতে গোলাগুলি হয়েছে। সোমবার পাকিস্তান আবারও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ‘ফাতাহ’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এটি ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম।
ভারত সবশেষ এ ধরনের মহড়া চালিয়েছে ১৯৭১ সালে। যখন ভারত-পাকিস্তান একই সময়ে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছিল। মূলত প্রতিকূল আক্রমণের ক্ষেত্রে কার্যকর নাগরিক প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করাতেই এই মহড়া চালাতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যে সময় এ মহড়ার নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের মহড়া ভারতে বিরল। পাশাপাশি সীমান্তে অতিরিক্ত ১৭ হাজার বিএসএফ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে ভারত। এর একটি বড় অংশই থাকবে পাকিস্তান সীমান্তে।
এরইমধ্যে, পাঞ্জাবে ক্যান্টোমেন্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে চালানো হয়েছে মহড়া। বিদ্যমান যুদ্ধের হুমকির সময় ব্ল্যাকআউট পদ্ধতি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করা্ই ছিল এর লক্ষ্য।
এদিকে, এদিন পেহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লি কীভাবে জানাবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বৈঠক। তবে, সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানায়নি ভারতের গণমাধ্যম।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ
গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দোষারোপ করলে তারা তা অস্বীকার করছে। এ অবস্থায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে ভারতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা হলে পাকিস্তান পূর্ণ সামরিক শক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে।
আরএম/এসএন